
শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
দূর্নীতির বরপুত্র, ঘুষ বাণিজ্যের হোতা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ শফিউল ইসলামকে সম্প্রতি গাইবান্ধা পৌরসভা হতে পলাশবাড়ী পৌরসভায় বদলি করায় ফুসে উঠেছে পলাশবাড়ী পৌরবাসী। দূর্নীতিবাজ ওই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বদলী বাতিলের দাবী জানিয়ে ১৯ মার্চ বুধবার বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগসহ নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির ব্যানারে পলাশবাড়ী পৌরসভার দেয়ালে সাটানো হয়েছে ব্যানার। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অবিলম্বে এই বদলী বাতিল না করলে পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামবে নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। এমনটাই আভাস দিয়েছে কমিটির আহবায়ক মোশফিকুর রহমান মিল্টন ও সদস্য সচিব ফেরদাউছ মিয়া। সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শফিউল ইসলাম তৎকালীন গাইবান্ধা জেলা আঃলীগের সাংগঠিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতলুবর রহমানের ঘনিষ্টজন হওয়ায় রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ায় ক্ষমতার দাপটে পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। তার এহেন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে গাইবান্ধা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঠিকাদার ফিরোজ কবির স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে প্রকৌশলী শফিউল ইসলামের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় স্থানীয়ভাবে মানববন্ধন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে ঠিকাদার ফিরোজ কবিরের অভিযোগটি আমলে নেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের সহকারী কমিশনার জসিম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রের আদেশে উক্ত অভিযোগটি তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয়, গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আল মামুনকে। এদিকে তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ না হতেই তড়িঘরি করে স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক আজিজ সারতাজ যায়েদ-এর স্বাক্ষরিত এক পত্রের আদেশে ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রকৌশলী শফিউল ইসলামকে পলাশবাড়ী পৌরসভায় বদলী করায় ফুসে উঠেছে সচেতন পলাশবাড়ী পৌরবাসী। দূর্নীতগ্রস্থ প্রকৌশলী শফিউল ইসলামের তরিঘরি বদলীর বিষয়ে জানতে চাইলে, স্থানীয় সরকার রংপুর বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপপরিচালক আজিজ সারতাজ জায়েদ, বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পলাশবাড়ী পৌর প্রশাসক আল ইয়াসা রহমান তাফাদার বলেন, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আদেশ, আমার করার কিছু নেই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, আমার কার্যক্রম দেখেন তারপর বলেন।

























