, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ধুনটে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ ফারুক উদ্দিন আহমেদের জানাজার নামাজে হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনার সফল করার লক্ষ্যে ইউনিয়নের প্রস্তুতি মূলক সভা ধুনট পৌর যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রস্তুতি মূলক সভা ‎লালমনিরহাটে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন  ১৭ জন ঝিনাইগাতীতে গত একযুগেও গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবে যেতে পারে ৪ জেলা কলমাকান্দায় এক অসহায় শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা কায়সার কামাল ময়মনসিংহ সদরের চরাঞ্চলের সড়ক সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

ধুনটে অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ১৩৭ পড়া হয়েছে

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেড়েরবাড়ি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি বিশাল আকৃতির এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।গত শনিবার (২২ই মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছটি কেটে বিক্রি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে লাগানো গাছটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।জানা যায়,বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে, কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পুরাতন একটি বিশাল আকৃতির মূল্যবান এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু সেসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে এ কাজ করছেন তিনি।প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, স্কুলের ছেলেপেলে পিকনিক করতে গাছের ডাল কেটেছে। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে তাদের ডাল কাটতে নিষেধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কুলের টয়লেটের ছাদে গাছটি দুলে পড়েছে। ছাদে উপরে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে। স্কুলে অফিস সহকারী না থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হয়। তাই ছেলে পেলে গাছের ডাল কেটেছে। গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজল্যুশন করা আছে। মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেউ গাছ কাটতে পারে না। এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।

জনপ্রিয়

বগুড়া ধুনটে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

ধুনটে অনুমোদন ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার ধুনটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বেড়েরবাড়ি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি বিশাল আকৃতির এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।গত শনিবার (২২ই মার্চ) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছটি কেটে বিক্রি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন আগে লাগানো গাছটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।জানা যায়,বিদ্যালয় ছুটি থাকার সুযোগে কাউকে না জানিয়ে, কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পুরাতন একটি বিশাল আকৃতির মূল্যবান এন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু সেসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে এ কাজ করছেন তিনি।প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, স্কুলের ছেলেপেলে পিকনিক করতে গাছের ডাল কেটেছে। আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে তাদের ডাল কাটতে নিষেধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্কুলের টয়লেটের ছাদে গাছটি দুলে পড়েছে। ছাদে উপরে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়ে থাকে। স্কুলে অফিস সহকারী না থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হয়। তাই ছেলে পেলে গাছের ডাল কেটেছে। গাছ কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজল্যুশন করা আছে। মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো আবেদন করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কাউকে না জানিয়ে এভাবে কেউ গাছ কাটতে পারে না। এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কেটে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলবো।