, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

বগুড়া শেরপুরে আকবর আলী হত্যা মামলার আসামি ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার

  • প্রকাশের সময় : ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ৭৮ পড়া হয়েছে

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী ওরফে সাধু (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মো. আব্দুল লতিফ (২৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল পৌনে ১২টায় তাকে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম এলাকার একটি ভূট্টার ক্ষেত থেকে আটক করা হয়।গ্রেপ্তার আব্দুল লতিফ ওই ইউনিয়নের ধরমোকাম উত্তরপাড়া এলাকার মো. ওসমান গনির ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি।পুলিশ জানায়, শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ তুরকান (রহ.) মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ে আকবর আলীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. শাহ জামাল (৩৫) শেরপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার দা, গায়ের চাদর, প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসব আলামতের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। পরদিন সকালেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল লতিফ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, নিহত আকবর আলীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে একটি দা কোমরে গুঁজে নিয়ে বের হন এবং ফোন করে আকবর আলীকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন।রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গ্রামের আরিফের চায়ের দোকানে দুজনের দেখা হয় এবং তারা সেখানে চা পান করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ হয়ে গেলে তারা মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ের দিকে হাঁটতে থাকেন। এ সময় লতিফ আকবর আলীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কোপান। আকবর আলী চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে লতিফ পালিয়ে যান।শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বগুড়া শেরপুরে আকবর আলী হত্যা মামলার আসামি ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী ওরফে সাধু (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মো. আব্দুল লতিফ (২৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল পৌনে ১২টায় তাকে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম এলাকার একটি ভূট্টার ক্ষেত থেকে আটক করা হয়।গ্রেপ্তার আব্দুল লতিফ ওই ইউনিয়নের ধরমোকাম উত্তরপাড়া এলাকার মো. ওসমান গনির ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি।পুলিশ জানায়, শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ তুরকান (রহ.) মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ে আকবর আলীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. শাহ জামাল (৩৫) শেরপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার দা, গায়ের চাদর, প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসব আলামতের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। পরদিন সকালেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল লতিফ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, নিহত আকবর আলীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে একটি দা কোমরে গুঁজে নিয়ে বের হন এবং ফোন করে আকবর আলীকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন।রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গ্রামের আরিফের চায়ের দোকানে দুজনের দেখা হয় এবং তারা সেখানে চা পান করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ হয়ে গেলে তারা মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ের দিকে হাঁটতে থাকেন। এ সময় লতিফ আকবর আলীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কোপান। আকবর আলী চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে লতিফ পালিয়ে যান।শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।