, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ফাইল গায়েবে জড়িতরা আজও অধরা কোন দল গোছানোর জন্য নির্বাচন পেছানো যাবে না বগুড়ায় — নজরুল ইসলাম খান বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন  নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ইউসুফ আলী  ক্ষমা করো হে প্রেয়সী শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং ও লোকবলের অভাবে গ্রাহকদের দুর্ভোগ বগুড়া ধুনটে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ ফারুক উদ্দিন আহমেদের জানাজার নামাজে হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনার সফল করার লক্ষ্যে ইউনিয়নের প্রস্তুতি মূলক সভা ধুনট পৌর যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রস্তুতি মূলক সভা ‎লালমনিরহাটে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন  ১৭ জন

কুয়াকাটায় ছয় দোকান বন্ধ করে তালা দিলেন যুবদল নেতা

  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • ৫৪ পড়া হয়েছে

মোয়াজ্জেমহোসেন,কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ

কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া মোল্লা মার্কেটের ছয়টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঈদের আগমুহুর্তে দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় দরিদ্র এসব দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ছয়টির মধ্যে তিনটি শুটকির, দুইটি আচারের দোকান ও একটি কাপড়ের দোকান বলে জানা গেছে।দোকানিরা জানান, রাতে দোকানপাট বন্ধ করে বাসায় গিয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখেন তাদের তালার উপরে নতুন তালা লাগানো রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মুসল্লী ও ঘরামিরা এই তালা দিয়েছে। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লীর ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মুসল্লীর নেতৃত্বে এ দোকানে তালা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছে। এভাবে দিনে-দুপুরে দখল সন্ত্রাসের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। নতুন করে তাদের সঙ্গে ভাড়াটিয়ার চুক্তি করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।আচার ও চকলেট দোকানি আল-আমিন জানান, তিনি প্রায় পাঁচ বছর আগে তিন লাখ টাকা অগ্রিম জামানত দিয়ে মাসিক তিন হাজার টাকা ভাড়ায় বেল্লাল মোল্লার কাছ থেকে ওই দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার দোকান খোলার জন্য গিয়ে দেখেন দোকানের ঝাপে তার তালার উপরে আরো একটি নতুন তালা দেওয়া রয়েছে। ঈদের বেচাকেনার প্রস্তুতি নিবেন তাও পারছেন না। মুসল্লী ও ঘরামিরা তাদের সঙ্গে চুক্তি করে দোকান চালানোর জন্য তালা দিয়েছে।শুটকির দোকানি রেজা মোল্লা জানান, তিনি ৮-৯ বছর আগে তিন লাখ টাকা জামানত ও মাসিক সাড়ে ছয় হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে বেল্লাল মোল্লার কাছ ওই দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।দোকানি নিজাম বেপারী জানান, প্রায় দশ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। বেল্লাল মোল্লার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দোকান করছেন। কালকে সকালে মুসল্লী বাড়ির লোকজন তালা দিয়েছে। তালার উপরে আবার চেরা দিয়ে আটকে দেয়, যাতে দোকান খোলা না যায়। তার ভ্যাষ্য,‘মালিকানার বিরোধ থাকলেও বেল্লাল মোল্লার সাথে তাদের। আমরা তো অনেক টাকা খরচ করে ভাড়া নিয়ে দোকান করছি। এহন আমরা কী অপরাধ করছি। দোকানপাট বন্ধ করে দিলে চলমু ক্যামনে। বর্তমানে এসব দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছেন।মোল্লা মার্কেটের মালিক দাবিদার বেল্লাল মোল্লা বলেন, এই জমি আমি ২৬-২৭ বছর আগে কিনেছি। এরপরও তো বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তখন দখল নেয়নি কেন? এ নিয়ে বহুবার কাগজপত্র নিয়ে বসা হইছে। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তার দাবি গায়ের জোরে তার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা দেওয়া হইছে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রিয়াজ মুসল্লী বলেন, ওই জমিতে সর্বপ্রথম আমাদের একটা ঘর ছিল। ওই জমির মালিক আবার বাবা আজিজ মুসল্লীসহ চাচারা। আমাদের সাড়ে তিন শতক জমি রয়েছে। প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারেক মোল্লা দখল করে পার্টি অফিস করেন। বাকি জমিতে মার্কেট করে ভাড়া দেন। ওই জমি নিয়ে আমার বাবাকে চৌরাস্তায় মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। তারপরও ৫ আগস্টের পরে ওই ভাড়াটিয়াদের আমাদের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তির জন্য বহুবার কথা বলেছি। তারা শোনেনি। আমি মহিপুর থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী, পৌরসভার প্রশাসকের কাছে ঘুরেছি। কেউ কোন সমাধান করেনি। তাই নিরুপায় হয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। জোর করলে সাত মাস ধরে ঘোরতাম না। মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, তার কেউ এ সংক্রান্ত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবেন।

 

জনপ্রিয়

লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির ফাইল গায়েবে জড়িতরা আজও অধরা

কুয়াকাটায় ছয় দোকান বন্ধ করে তালা দিলেন যুবদল নেতা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

মোয়াজ্জেমহোসেন,কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ

কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া মোল্লা মার্কেটের ছয়টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঈদের আগমুহুর্তে দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় দরিদ্র এসব দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ছয়টির মধ্যে তিনটি শুটকির, দুইটি আচারের দোকান ও একটি কাপড়ের দোকান বলে জানা গেছে।দোকানিরা জানান, রাতে দোকানপাট বন্ধ করে বাসায় গিয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখেন তাদের তালার উপরে নতুন তালা লাগানো রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মুসল্লী ও ঘরামিরা এই তালা দিয়েছে। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লীর ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মুসল্লীর নেতৃত্বে এ দোকানে তালা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছে। এভাবে দিনে-দুপুরে দখল সন্ত্রাসের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। নতুন করে তাদের সঙ্গে ভাড়াটিয়ার চুক্তি করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।আচার ও চকলেট দোকানি আল-আমিন জানান, তিনি প্রায় পাঁচ বছর আগে তিন লাখ টাকা অগ্রিম জামানত দিয়ে মাসিক তিন হাজার টাকা ভাড়ায় বেল্লাল মোল্লার কাছ থেকে ওই দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। বৃহস্পতিবার দোকান খোলার জন্য গিয়ে দেখেন দোকানের ঝাপে তার তালার উপরে আরো একটি নতুন তালা দেওয়া রয়েছে। ঈদের বেচাকেনার প্রস্তুতি নিবেন তাও পারছেন না। মুসল্লী ও ঘরামিরা তাদের সঙ্গে চুক্তি করে দোকান চালানোর জন্য তালা দিয়েছে।শুটকির দোকানি রেজা মোল্লা জানান, তিনি ৮-৯ বছর আগে তিন লাখ টাকা জামানত ও মাসিক সাড়ে ছয় হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে বেল্লাল মোল্লার কাছ ওই দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।দোকানি নিজাম বেপারী জানান, প্রায় দশ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। বেল্লাল মোল্লার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দোকান করছেন। কালকে সকালে মুসল্লী বাড়ির লোকজন তালা দিয়েছে। তালার উপরে আবার চেরা দিয়ে আটকে দেয়, যাতে দোকান খোলা না যায়। তার ভ্যাষ্য,‘মালিকানার বিরোধ থাকলেও বেল্লাল মোল্লার সাথে তাদের। আমরা তো অনেক টাকা খরচ করে ভাড়া নিয়ে দোকান করছি। এহন আমরা কী অপরাধ করছি। দোকানপাট বন্ধ করে দিলে চলমু ক্যামনে। বর্তমানে এসব দোকানিরা চরম বিপাকে পড়েছেন।মোল্লা মার্কেটের মালিক দাবিদার বেল্লাল মোল্লা বলেন, এই জমি আমি ২৬-২৭ বছর আগে কিনেছি। এরপরও তো বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তখন দখল নেয়নি কেন? এ নিয়ে বহুবার কাগজপত্র নিয়ে বসা হইছে। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তার দাবি গায়ের জোরে তার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা দেওয়া হইছে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রিয়াজ মুসল্লী বলেন, ওই জমিতে সর্বপ্রথম আমাদের একটা ঘর ছিল। ওই জমির মালিক আবার বাবা আজিজ মুসল্লীসহ চাচারা। আমাদের সাড়ে তিন শতক জমি রয়েছে। প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারেক মোল্লা দখল করে পার্টি অফিস করেন। বাকি জমিতে মার্কেট করে ভাড়া দেন। ওই জমি নিয়ে আমার বাবাকে চৌরাস্তায় মারধর করা হয়েছে। হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। তারপরও ৫ আগস্টের পরে ওই ভাড়াটিয়াদের আমাদের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তির জন্য বহুবার কথা বলেছি। তারা শোনেনি। আমি মহিপুর থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী, পৌরসভার প্রশাসকের কাছে ঘুরেছি। কেউ কোন সমাধান করেনি। তাই নিরুপায় হয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। জোর করলে সাত মাস ধরে ঘোরতাম না। মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, তার কেউ এ সংক্রান্ত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবেন।