বগুড়া ধুনটে মাদরাসার মুহতামিমের উপর সন্ত্রাসী সজল কর্তৃক হামলা ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রবিবার (২৭ই এপ্রিল) বিকালে ধুনট কওমী ওলামা পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাও আশরাফুদ্দীন আল আজাদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি ধুনট বাজার মসজিদ থেকে বের হয়ে হুকুমআলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সমাপ্ত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ধুনট কওমী ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা মুফতী খোরশেদ আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধুনট উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ধুনট উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাও আরিফুল্লাহ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আঈম্মা পরিষদ ধুনট উপজেলা শাখার সভাপতি মাও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা সন্ত্রাসী সজলের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ ও কঠোর শাস্তির দাবি করেন এবং ভবিষ্যতে যেন কোনো আলেমের গায়ে কেউ হাত তুলতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে আহ্বান করেন।
সম্প্রতি বগুড়া জেলার অন্তর্গত ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের আওতাধীন মাটিকোড়া গ্রামের ইলহাম এলোমানি (আল-সালেহ) মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাহেবের উপর গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফেরার পথে উচ্চস্বরে সালাম দেওয়ার কারনে সন্ত্রাসী সজল মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাহেবের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় এবং রামদা দিয়ে কুপিয়ে মাথা ফেটে দেয় এবং পুরো শরীরে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে জখম করে ফেলে।
ওস্তাদের উপর এমন জঘন্য হামলার প্রতিবাদ করায় অত্র মাদরাসার শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মোমিনকেও কুপিয়ে জখম করে, আব্দুল মোমিন এখন বগুড়ায় মেডিকেলে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুধু তাই নয় উভয় হামলার প্রতিবাদ করার কারণে কিছু সময় পর আবার অত্র গ্রামের পলাশ আহমাদ নামক এক যুবক ভাইকেও সে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হাতের বাহু কেটে ফেলে, আহত পলাশ আহমাদ বর্তমানে ধুনট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকাবাসি সন্ত্রাসী সজলকে গণপিটুনি দিয়ে ধুনট থানা পুলিশে সোপর্দ করে এবং পুলিশ তাকে গতকাল বগুড়ার জেল হাজতে প্রেরণ করে।