, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বগুড়া শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক টাকা জরিমানা বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে শ্বশুর ও পুত্রবধূ খুন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

জয়পুরহাটে বাহাস নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাটে বাহাস নিয়ে শফি কাসেমী সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ড. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকীর ভক্ত ও মুরশিদবৃন্দ।

মঙ্গলবার ২৯শে এপ্রিল দুপুরে ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে ড. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ আমান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শফী কাসেমী জয়পুরহাটে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কিছু ভিত্তিহীন দাবি উপস্থাপন করেছে, যা কখনোই সত্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে সে দাবি করেছে, জয়পুরহাটে আমাদের প্রতিনিধি নাকি এসপি অফিসে গিয়ে বাহাসের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং আমরা নাকি, এসপি মহোদয়ের দেওয়া তারিখে এসপি অফিসে গিয়ে বাহাসে অংশগ্রহণ করবো। বাহাসে যারা বিজয়ী হবে আশরাফ সিদ্দিকী ও তার লোকজন তাদের কথা বিনা বাক্যে মেনে নেবে এবং নিজেদেরকে পরাজিত ও বাতিল বলে স্বীকার করে নেবে।

এই রকম কোনো চুক্তিনামা বা ডিড অথবা এইরকম কোন কথা এসপি মহোদয় বা তাদের সাথে হয়নি। এসপি তার অফিস কক্ষে বাহাস নয়, আলোচনার প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা তখন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এসপির কাছে লিখিতভাবে বাহাসের শর্তনামাসহ ডিড জমা দিই। এসপিকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলি- বাহাস হবে খোলা ময়দানে, জনসম্মুখে, শর্তসাপেক্ষে। কোন আবদ্ধ ঘরে নয়। শফী ও তার প্রতিনিধিগণ কেউ বাহাসের ডিডে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি।

প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ৬ এপ্রিল জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আমাদের সম্মানিত মুর্শিদ কিবলা মুহাম্মাদ এমএমডি. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকী উনার ওয়াজ মাহফিল ছিল। সে অনুযায়ী মাহফিল কমিটি প্রশাসনের নিকট থেকে মাহফিলের অনুমতি নেয়। কিন্তু কওমী, চরমোনাই এবং ইলিয়াসি তাবলীগীরা মাহফিল বন্ধের ষড়যন্ত্র করে হঠাৎ করে মাহফিলের ২ দিন আগে একইদিন একই মাঠে তারাও মাহফিল করবে মর্মে মাহফিলের পোস্টার তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে এবং তারাই আবার প্রশাসনের কাছে গিয়ে এআই প্রযুক্তি দ্বারা এডিট করা কিছু কাটিং ওয়াজ শুনিয়ে মাহফিল বন্ধ করার জন্য কান্নাকাটি করে। প্রশাসনকে তারা বলে মাহফিল হলে নাকি মারামারি হবে, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে ইত্যাদি বলে। পরে এসপি মহোদয় মাহফিল কর্তৃপক্ষকে মাহফিল না করার জন্য নির্দেশ করে। মাহফিল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে সম্মান করে মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এসপি মহোদয় দুই পক্ষকে তার অফিসে বসে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য বলেন। যে বিষয়ে তখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যে কথিত মিথ্যাবাদী শফী কাসেমী লোক দেখানো বাহাসের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা মর্মে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার শুরু করে।আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এইসব বাতিল সাথে বাহাসে বসার জন্য খোলা ময়দানে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে প্যান্ডেল খরচও আমরাই বহন করবো।

সংবাদ সম্মেলনে শফী কাসেমী ভিত্তিহীন দাবিসমূহ ও তার খণ্ডন- ডক্টরেট ডিগ্রি, মুর্শিদ ক্বিবলা উপাধি, কাফের ফতোয়া নিয়ে অপপ্রচার ও রাজারবাগীদের সাথে সম্পৃক্ততার মিথ্যা অভিযোগ করেছে, যা সত্য নয়। এছাড়া কওমী ফেরকা, কওমীদের একটি শাখা- হেফাজতে ইসলাম, ছয় উসূল তাবলীগ জামাত, তাদের আরও একটি অংশ- চরমোনাই গং বলে জানানো হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ড. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকীর অনুসারি, রাফিউল ইসলাম, এনামুল হক, রবিউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মুরশিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

জনপ্রিয়

বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

জয়পুরহাটে বাহাস নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

জয়পুরহাটে বাহাস নিয়ে শফি কাসেমী সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ড. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকীর ভক্ত ও মুরশিদবৃন্দ।

মঙ্গলবার ২৯শে এপ্রিল দুপুরে ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে ড. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ আমান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শফী কাসেমী জয়পুরহাটে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কিছু ভিত্তিহীন দাবি উপস্থাপন করেছে, যা কখনোই সত্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে সে দাবি করেছে, জয়পুরহাটে আমাদের প্রতিনিধি নাকি এসপি অফিসে গিয়ে বাহাসের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং আমরা নাকি, এসপি মহোদয়ের দেওয়া তারিখে এসপি অফিসে গিয়ে বাহাসে অংশগ্রহণ করবো। বাহাসে যারা বিজয়ী হবে আশরাফ সিদ্দিকী ও তার লোকজন তাদের কথা বিনা বাক্যে মেনে নেবে এবং নিজেদেরকে পরাজিত ও বাতিল বলে স্বীকার করে নেবে।

এই রকম কোনো চুক্তিনামা বা ডিড অথবা এইরকম কোন কথা এসপি মহোদয় বা তাদের সাথে হয়নি। এসপি তার অফিস কক্ষে বাহাস নয়, আলোচনার প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা তখন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এসপির কাছে লিখিতভাবে বাহাসের শর্তনামাসহ ডিড জমা দিই। এসপিকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলি- বাহাস হবে খোলা ময়দানে, জনসম্মুখে, শর্তসাপেক্ষে। কোন আবদ্ধ ঘরে নয়। শফী ও তার প্রতিনিধিগণ কেউ বাহাসের ডিডে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি।

প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ৬ এপ্রিল জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আমাদের সম্মানিত মুর্শিদ কিবলা মুহাম্মাদ এমএমডি. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকী উনার ওয়াজ মাহফিল ছিল। সে অনুযায়ী মাহফিল কমিটি প্রশাসনের নিকট থেকে মাহফিলের অনুমতি নেয়। কিন্তু কওমী, চরমোনাই এবং ইলিয়াসি তাবলীগীরা মাহফিল বন্ধের ষড়যন্ত্র করে হঠাৎ করে মাহফিলের ২ দিন আগে একইদিন একই মাঠে তারাও মাহফিল করবে মর্মে মাহফিলের পোস্টার তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে এবং তারাই আবার প্রশাসনের কাছে গিয়ে এআই প্রযুক্তি দ্বারা এডিট করা কিছু কাটিং ওয়াজ শুনিয়ে মাহফিল বন্ধ করার জন্য কান্নাকাটি করে। প্রশাসনকে তারা বলে মাহফিল হলে নাকি মারামারি হবে, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে ইত্যাদি বলে। পরে এসপি মহোদয় মাহফিল কর্তৃপক্ষকে মাহফিল না করার জন্য নির্দেশ করে। মাহফিল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে সম্মান করে মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এসপি মহোদয় দুই পক্ষকে তার অফিসে বসে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য বলেন। যে বিষয়ে তখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যে কথিত মিথ্যাবাদী শফী কাসেমী লোক দেখানো বাহাসের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা মর্মে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার শুরু করে।আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এইসব বাতিল সাথে বাহাসে বসার জন্য খোলা ময়দানে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে প্যান্ডেল খরচও আমরাই বহন করবো।

সংবাদ সম্মেলনে শফী কাসেমী ভিত্তিহীন দাবিসমূহ ও তার খণ্ডন- ডক্টরেট ডিগ্রি, মুর্শিদ ক্বিবলা উপাধি, কাফের ফতোয়া নিয়ে অপপ্রচার ও রাজারবাগীদের সাথে সম্পৃক্ততার মিথ্যা অভিযোগ করেছে, যা সত্য নয়। এছাড়া কওমী ফেরকা, কওমীদের একটি শাখা- হেফাজতে ইসলাম, ছয় উসূল তাবলীগ জামাত, তাদের আরও একটি অংশ- চরমোনাই গং বলে জানানো হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ড. আশরাফ আলীমুল্লহ সিদ্দীকীর অনুসারি, রাফিউল ইসলাম, এনামুল হক, রবিউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মুরশিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।