, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বগুড়া শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক টাকা জরিমানা বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে শ্বশুর ও পুত্রবধূ খুন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ফুলছড়িতে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী’র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে দুদকের তিন সদস্যের একটি দল প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এসে অভিযান শুরু করে। তবে অভিযানের সময় কার্যালয়ে ছিলেন না উপজেলা প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম। পরে দুদকের কর্মকর্তারা কার্যালয়ের অন্য কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযানের এ সময় তারা ফুলছড়ি উপজেলায় ২০২০-২১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এডিপির বরাদ্দের বিভিন্ন প্রকল্পের ফাইলপত্র তল্লাশি করেন। এ সময় কাগজপত্রে অনিয়ম, অসংগতি নানা অভিযোগে প্রকল্পের তালিকা ধরে কাজের অগ্রগতি দেখতে প্রকল্প এলাকায় পরির্দশন করেন দুদকের কর্মকতারা।

এ বিষয়ে রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মো. শাওন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে দুদকের রংপুর অঞ্চলের একটি টিম ফুলছড়ি এলাকা পরিদর্শন করছি। এডিবি প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় জনগণ জানিয়েছে তাদের নিজেদের অর্থায়নে কাজ করা হয়েছে। লোকজনের দেওয়া তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

উল্লেখ্য, ফুলছড়ি উপজেলায় ২০২০ হতে ২০২৩ পর্যন্ত এডিপির বরাদ্দের বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম, নয় ছয়সহ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে । বিশেষ করে, প্রকল্প কমিটি যেসব কাজ করেছে, সেসব কাজে অনিয়ম বেশি হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কোনোটির অর্ধেক, আবার কোনোটির কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামেও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যানরা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয়

বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

ফুলছড়িতে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

প্রকাশের সময় : ০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী’র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে দুদকের তিন সদস্যের একটি দল প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এসে অভিযান শুরু করে। তবে অভিযানের সময় কার্যালয়ে ছিলেন না উপজেলা প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম। পরে দুদকের কর্মকর্তারা কার্যালয়ের অন্য কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযানের এ সময় তারা ফুলছড়ি উপজেলায় ২০২০-২১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এডিপির বরাদ্দের বিভিন্ন প্রকল্পের ফাইলপত্র তল্লাশি করেন। এ সময় কাগজপত্রে অনিয়ম, অসংগতি নানা অভিযোগে প্রকল্পের তালিকা ধরে কাজের অগ্রগতি দেখতে প্রকল্প এলাকায় পরির্দশন করেন দুদকের কর্মকতারা।

এ বিষয়ে রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক মো. শাওন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে দুদকের রংপুর অঞ্চলের একটি টিম ফুলছড়ি এলাকা পরিদর্শন করছি। এডিবি প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় জনগণ জানিয়েছে তাদের নিজেদের অর্থায়নে কাজ করা হয়েছে। লোকজনের দেওয়া তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

উল্লেখ্য, ফুলছড়ি উপজেলায় ২০২০ হতে ২০২৩ পর্যন্ত এডিপির বরাদ্দের বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম, নয় ছয়সহ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে । বিশেষ করে, প্রকল্প কমিটি যেসব কাজ করেছে, সেসব কাজে অনিয়ম বেশি হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কোনোটির অর্ধেক, আবার কোনোটির কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামেও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যানরা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।