, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লালমনিরহাটে ‎একই দিনে, সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে মিলল দুইজনের ঝুলন্ত লাশ ‎লালমনিরহাটের খাতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা মাদকসেবী ও চোর চক্রের ভয়াল ছোবলে অতিষ্ঠ বগুড়া ধুনটে আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের বসতবাড়ি

রাণীশংকৈলের হোসেনগাঁও ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়ে ছাই

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম আসার আগেই ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বুধবার ভোরে উপজেলার ৩ নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে আগুন লেগে বিভিন্ন নথি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আর এ আগুনে পরিষদের আয়, ব্যয়, ভিজিটিং কার্ডের জমানো টাকার হিসাবসহ ইউপি সদস্যদের বকেয়া বেতনের বিভিন্ন ফাইল পুড়ে যায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যদের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি দল আসার কথা ছিলো। আর সেই তদন্ত কমিটি আসার আগেই পুড়ে গেল পরিষদের বিভিন্ন ফাইল। হঠাৎ আগুন লাগার বিষয় নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, ইউপি সদস্যদের সম্মানীভাতা না দেওয়া, সভার রেজুলেশন জালিয়াতি ও বিভিন্ন আর্থিক খাতে দুর্নীতির বিষয়ে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত টিম আসার কথা ছিলো। সেই তদন্ত কমিটি আসার আগেই ছাই হলো পরিষদের বিভিন্ন নথি।

পরিষদের নৈশ প্রহরী মহল্লাদার ফজলুল হক জানান, “মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় ইউপি সচিব পরিষদের সেই কক্ষে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে চলে যান। পরে রাত ৩ টার দিকে আবার দরজা তালা চেক করে চোখে ঘুম আসলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এর পরেই ভোর রাতে আমি পরিষদের মসজিদের মুয়াজ্জিনের সংবাদে খবর পেয়ে এসে দেখি যে সচিবের কক্ষে আগুন জ্বলছে। পরে কক্ষের থাই জানালা খুলে বাইর থেকে পানি ঢেলে আগুন নিভাই।”

ইউপি সচিব পলাশ চন্দ্র রায় জানান, “আমি রাতে আমার কাজ শেষে বের হয়ে যাই। তখন সব ঠিক ছিলো। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন বলেন, “অগ্নিকান্ডে পরিষদের কিছু নথি পুড়ে গেছে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয়

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ

রাণীশংকৈলের হোসেনগাঁও ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়ে ছাই

প্রকাশের সময় : ০৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম আসার আগেই ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বুধবার ভোরে উপজেলার ৩ নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কক্ষে আগুন লেগে বিভিন্ন নথি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আর এ আগুনে পরিষদের আয়, ব্যয়, ভিজিটিং কার্ডের জমানো টাকার হিসাবসহ ইউপি সদস্যদের বকেয়া বেতনের বিভিন্ন ফাইল পুড়ে যায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইউপি সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যদের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি দল আসার কথা ছিলো। আর সেই তদন্ত কমিটি আসার আগেই পুড়ে গেল পরিষদের বিভিন্ন ফাইল। হঠাৎ আগুন লাগার বিষয় নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, ইউপি সদস্যদের সম্মানীভাতা না দেওয়া, সভার রেজুলেশন জালিয়াতি ও বিভিন্ন আর্থিক খাতে দুর্নীতির বিষয়ে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত টিম আসার কথা ছিলো। সেই তদন্ত কমিটি আসার আগেই ছাই হলো পরিষদের বিভিন্ন নথি।

পরিষদের নৈশ প্রহরী মহল্লাদার ফজলুল হক জানান, “মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় ইউপি সচিব পরিষদের সেই কক্ষে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে চলে যান। পরে রাত ৩ টার দিকে আবার দরজা তালা চেক করে চোখে ঘুম আসলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এর পরেই ভোর রাতে আমি পরিষদের মসজিদের মুয়াজ্জিনের সংবাদে খবর পেয়ে এসে দেখি যে সচিবের কক্ষে আগুন জ্বলছে। পরে কক্ষের থাই জানালা খুলে বাইর থেকে পানি ঢেলে আগুন নিভাই।”

ইউপি সচিব পলাশ চন্দ্র রায় জানান, “আমি রাতে আমার কাজ শেষে বের হয়ে যাই। তখন সব ঠিক ছিলো। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন বলেন, “অগ্নিকান্ডে পরিষদের কিছু নথি পুড়ে গেছে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”