বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ যুবককে বৃহস্পতিবার রাত দেড় টায় মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
যুবকেরা হলেন, উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচথুপি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে উৎসব (১৭) একই এলাকার নান্নু মন্ডলের ছেলে রোহান (১৮), নজরুল ইসলামের ছেলে জাহিদ ( ১৭), দুলাল শেখের ছেলে তৌকির (১৬) ও নজরুল শেখের ছেলে রাসেল (১৭)।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গাইবান্ধা জেলার এক ছেলে চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচথুপি গ্রামের এক কিশোরীর সাথে দেখা করতে আসেন। ওইদিন রাত ১১ টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বিষয়টি জানতে পেরে ছেলে ও মেয়েকে আটক করে।
পরে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি দফারফার চেষ্টা করা হয়। দফারফা না হওয়ায় ছেলের বাবাকে ফোন করে আসতে বলে ওই যুবকেরা। পরে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা আসলে মত পার্থক্যের কারণে ওই যুবকদের সাথে বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা ঘটনাটি থানায় জানালে থানার এসআই হায়দার আলী সহ আরও দুইজন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে এসে ওই আটক ছেলেকে থানায় নিয়ে যাবার সময় স্থানীয় ওই যুবকেরা মিষ্টি খাওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করে। এসআই হায়দার আলী সেখানে থেকে কৌশলে থানায় ফিরে আসেন। এবং স্থানীয় ওই যুবকদের থানায় এসে মিষ্টি খাওয়ার টাকা নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে ৫ যুবক সন্ধ্যার দিকে থানায় গেলে পুলিশের এসআই অমিত হাসান মাহমুদ তাদের ওসির রুমে ডেকে নেয়।
ওসি ওই ৫ যুবককে ঘটনার সম্পর্কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে পুলিশের কাছে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দাবি করার অভিযোগে এনে ওই ৫ যুবককে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে আটক রাখে পুলিশ। রাত গভীর হলে থানায় আটক যুবকদের স্বজনরা থানার ভিতর প্রবেশ করে এসআই হায়দার আলী, এসআই অমিত হাসানের সাথে দেন দরবার করে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে আটক ৫ যুবককে রাত দেড়টায় দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুল আলম জানান, মেয়ে সংঘটিত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই যুবকদের থানায় আসতে বলা হয়েছিল। তাদের গ্রেফতার করা হইনি। ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।