, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ধুনটে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ ফারুক উদ্দিন আহমেদের জানাজার নামাজে হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনার সফল করার লক্ষ্যে ইউনিয়নের প্রস্তুতি মূলক সভা ধুনট পৌর যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রস্তুতি মূলক সভা ‎লালমনিরহাটে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন  ১৭ জন ঝিনাইগাতীতে গত একযুগেও গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের ধেয়ে আসছে বন্যা, ডুবে যেতে পারে ৪ জেলা কলমাকান্দায় এক অসহায় শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা কায়সার কামাল ময়মনসিংহ সদরের চরাঞ্চলের সড়ক সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিনা চিকিৎসায় শিকলে বন্ধি মানসিক ভারসাম্যহীন শিফানী খাতুন

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিনা চিকিৎসায় শিকলে বন্দী মানসিক ভারসাম্যহীন শিফানী খাতুন (৩০)। শিফানী খাতুন উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের পুরুষ উত্তম খিলা গ্রামের মরহুম ছোহরাব আলীর মেয়ে। জানা যায় ছোহরাব আলী ছিলেন একজন দিনমজুর। ৩ কন্যা সন্তাস সহ ৫ সদস্যের পরিবার ছিলো তার।

বাড়ির ৫ শতাংশ জমি ছাড়া সহয় সস্বল বলতে আর কিছুই নেই। শ্রম বিক্রি করে চলছিলো তার সংসার। গত দুই বছর পুর্বে ছোহরাব আলী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। এসময় তার স্ত্রী রমেছা খাতুন ঋণ ধার করে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসা করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ছোহরাব আলীর মৃত্যুর পর বিপর্যস্ত হয়ে পরে পরিবারটি। রমেছা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। না পারছে পরিশোধ করতে স্বামীর চিকিৎসার জন্য ধার করা ঋণ,না পারছে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের চিকিৎসা ও ভরনপোষণ যোগাতে।

রমেছা বেগম জানান, ছোট ২ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বড় মেয়ে শিফানী খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। জন্মের পাঁচ বছর পর থেকেই শিফানী খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীনহীন হয়ে পরে। ছোহরাব আলী বেচে থাকা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শিফানী খাতুনের চিকিৎসা করেছেন সাধ্যমত। কিন্তু ছোহারাব আলীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রমেছা বেগম আর মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না। শিকলে বেঁধে রাখতে হচ্ছে তাকে। সার্বক্ষণিক ছোটাছুটি করছে শিফানী খাতুন। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে রমেছা বেগম অন্যের বাড়িতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতে যেতে হয়।

এ সময় রমেছা বেগম যে বাড়িতে কাজ করেন সে বাড়িতেই তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শিফানী খাতুনকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে কাজ করেন। অনেক সময় তাও সম্ভব হয়ে উঠে না। রমেছা বেগমর ভাগ্যে জুটেনি সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। বর্তমানে রমেশা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে মানবতন জীবনযাপন করে আসছেন। রমেছা বেগম বলেন স্বামী মৃত্যুর পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধির কাছে বহু বার গিয়েছেন তিনি কোন কাজ হয়নি। বরং তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে রেড় করে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে কোন সদোউত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেছেন সামনে কোন সুযোগ-সুবিধা এলে তাকে দেখা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন শেফানি খাতুদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

জনপ্রিয়

বগুড়া ধুনটে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিনা চিকিৎসায় শিকলে বন্ধি মানসিক ভারসাম্যহীন শিফানী খাতুন

প্রকাশের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিনা চিকিৎসায় শিকলে বন্দী মানসিক ভারসাম্যহীন শিফানী খাতুন (৩০)। শিফানী খাতুন উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের পুরুষ উত্তম খিলা গ্রামের মরহুম ছোহরাব আলীর মেয়ে। জানা যায় ছোহরাব আলী ছিলেন একজন দিনমজুর। ৩ কন্যা সন্তাস সহ ৫ সদস্যের পরিবার ছিলো তার।

বাড়ির ৫ শতাংশ জমি ছাড়া সহয় সস্বল বলতে আর কিছুই নেই। শ্রম বিক্রি করে চলছিলো তার সংসার। গত দুই বছর পুর্বে ছোহরাব আলী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। এসময় তার স্ত্রী রমেছা খাতুন ঋণ ধার করে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসা করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ছোহরাব আলীর মৃত্যুর পর বিপর্যস্ত হয়ে পরে পরিবারটি। রমেছা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। না পারছে পরিশোধ করতে স্বামীর চিকিৎসার জন্য ধার করা ঋণ,না পারছে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের চিকিৎসা ও ভরনপোষণ যোগাতে।

রমেছা বেগম জানান, ছোট ২ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বড় মেয়ে শিফানী খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। জন্মের পাঁচ বছর পর থেকেই শিফানী খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীনহীন হয়ে পরে। ছোহরাব আলী বেচে থাকা অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শিফানী খাতুনের চিকিৎসা করেছেন সাধ্যমত। কিন্তু ছোহারাব আলীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রমেছা বেগম আর মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না। শিকলে বেঁধে রাখতে হচ্ছে তাকে। সার্বক্ষণিক ছোটাছুটি করছে শিফানী খাতুন। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে রমেছা বেগম অন্যের বাড়িতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতে যেতে হয়।

এ সময় রমেছা বেগম যে বাড়িতে কাজ করেন সে বাড়িতেই তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শিফানী খাতুনকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রেখে কাজ করেন। অনেক সময় তাও সম্ভব হয়ে উঠে না। রমেছা বেগমর ভাগ্যে জুটেনি সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। বর্তমানে রমেশা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে নিয়ে মানবতন জীবনযাপন করে আসছেন। রমেছা বেগম বলেন স্বামী মৃত্যুর পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধির কাছে বহু বার গিয়েছেন তিনি কোন কাজ হয়নি। বরং তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে রেড় করে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে কোন সদোউত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেছেন সামনে কোন সুযোগ-সুবিধা এলে তাকে দেখা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন শেফানি খাতুদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।