, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

ফুলছড়িতে নারীর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতির দাবীতে গণসমাবেশ

নারীর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। গৃহস্থালি ও সেবাকর্মে নারীর অবৈতনিক কাজের মূল্যমান তার বৈতনিক কাজের থেকে তিনগুণ বেশি। নারীর এই অবৈতনিক কাজগুলোর স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে। বাজেটে এর অন্তর্ভুক্তি থাকতে হবে। এজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নারীর অবৈতনিক গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি বিষয়ক গণসমাবেশ থেকে এ দাবী জানানো হয়।

নারীর অবৈতনিক মজুরীর স্বীকৃতি বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করা। বিষয়টি সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা। বাল্য বিবাহ বন্ধে সচেতনতা এবং নীতি নির্ধারকদের আরও দায়িত্বশীল করার লক্ষ্যে বুধবার (০৭ মে) সাবেক উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ) প্রকল্পের আয়োজনে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসকেএস ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী উম্মে কুলসুম ইলা’র সভাপতিত্বে প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন, ফুলছড়ি উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম আল বিরুনী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম, শিক্ষক আতিকুর রহমান, ফজলুপুর নারী দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, কিশোর দলের সদস্য আলপনা খাতুন,  নুরুল হক, শাহীন আলম, প্রকল্প কর্মকর্তা সুলতানা বাহার প্রমুখ।

গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, চরাঞ্চলের নারীরা প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে। কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি নাই। নারীর সেবামূলক ও গৃহস্থালির কাজকে কীভাবে স্বীকৃতি দেয়া যায়, কীভাবে তাদের কাজের মূল্যায়ন করা যায়, এ ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোও জরুরি। সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের অন্যতম উপায় হলো নারী-পুরুষের কাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। এজন্য নারীদের অর্থনৈতিক নেতৃত্বের ধারাকে গতিশীল রাখতে তাদের ঘরের কাজের স্বীকৃতির প্রয়োজন। তারা বলেন, নারীদের গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতির জন্য পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আসবে।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফুলছড়িতে নারীর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতির দাবীতে গণসমাবেশ

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

নারীর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে। গৃহস্থালি ও সেবাকর্মে নারীর অবৈতনিক কাজের মূল্যমান তার বৈতনিক কাজের থেকে তিনগুণ বেশি। নারীর এই অবৈতনিক কাজগুলোর স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে। বাজেটে এর অন্তর্ভুক্তি থাকতে হবে। এজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। গাইবান্ধার ফুলছড়িতে নারীর অবৈতনিক গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি বিষয়ক গণসমাবেশ থেকে এ দাবী জানানো হয়।

নারীর অবৈতনিক মজুরীর স্বীকৃতি বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করা। বিষয়টি সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা। বাল্য বিবাহ বন্ধে সচেতনতা এবং নীতি নির্ধারকদের আরও দায়িত্বশীল করার লক্ষ্যে বুধবার (০৭ মে) সাবেক উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ) প্রকল্পের আয়োজনে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসকেএস ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী উম্মে কুলসুম ইলা’র সভাপতিত্বে প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন, ফুলছড়ি উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম আল বিরুনী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম, শিক্ষক আতিকুর রহমান, ফজলুপুর নারী দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, কিশোর দলের সদস্য আলপনা খাতুন,  নুরুল হক, শাহীন আলম, প্রকল্প কর্মকর্তা সুলতানা বাহার প্রমুখ।

গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, চরাঞ্চলের নারীরা প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে। কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি নাই। নারীর সেবামূলক ও গৃহস্থালির কাজকে কীভাবে স্বীকৃতি দেয়া যায়, কীভাবে তাদের কাজের মূল্যায়ন করা যায়, এ ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোও জরুরি। সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের অন্যতম উপায় হলো নারী-পুরুষের কাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। এজন্য নারীদের অর্থনৈতিক নেতৃত্বের ধারাকে গতিশীল রাখতে তাদের ঘরের কাজের স্বীকৃতির প্রয়োজন। তারা বলেন, নারীদের গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতির জন্য পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আসবে।