
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদিপা এলাকায় পথে প্রান্তরে ও রাস্তার মোড়ে এবার ভিন্ন নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে কিছুতেই থামছে না তাদের দৌড়াত্ব।
শুক্রবার (৯ই মে) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার নয়মাইল হাট ইজারাদার শাহাদাত হোসেন লোকজন নিয়ে মানিকদীপা গ্রামেব বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যপারীদের কাছ থেকে টোল দাবী করে। কিন্তু গ্রামে গন্জে এসে টোল আদায় করাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি জনগন। এসময় স্থানীয় জনগন তাকে মারধর এবং তার গাড়ী ভাংচুর করেন। এছাড়াও চাঁদাবাজ হিসেবে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
বিষয়টি নিষ্পত্তি কল্পে স্থানীয় প্রশাসন হাটবাজার ছাড়া অন্যত্র গিয়ে হাটের টোল আদায় বা চাঁদা দাবী না করতে নির্দেশনা জারী করেন।
তবুও হাটবাজার ইজারা আদায় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হাট ইজারাদার শাহাদাত হোসেন এর প্রতিনিধি ও আড়িয়া ইউপির সাবেক সদস্য আব্দুল ওহিদ মুরাদ ও স্থানীয় কৃষক আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে পাল্টা পাল্টি মামলার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসনও সতর্ক রয়েছে।
শুধু তাই নয়, কৃষক ও ব্যপারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রতাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকার পথে প্রান্তরে গিয়ে দেখাগেছে, কৃষি পণ্য ক্রয়- বিক্রয়ের সময়
ব্যাপারীদের কাছে ভিন্ন নামে টাকা আদায় করছে এক শ্রেনীর লোক। আবার কেউবা মসজিদের নামে, প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা আদায় করছে। আর কোথাকার প্রতিষ্ঠান বা কারন জিজ্ঞেস করলেই সটকে পড়ছেন তারা। এমনিভাবে মানিকদীপা নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সময়
ব্যাপারীদের কাছ থেকে মসজিদের নামে টাকা চাওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসার উত্তরে বলা হয় নতুনবাজার মসজিদ উন্নয়নের জন্য টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাবেক আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান ও বাজার কমিটির সভাপতি আনছার আলীকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, কাউকে টাকা আদায় করার অনুমতি দেয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তও নেয়া হয়নি।
সুতরাং ইসলামের দোহাই দিয়ে সংশ্লিষ্ট
প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া টাকা আদায় করা নতুন নামে চাঁদাবাজি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসীর।