
বগুড়ার ধুনট উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ সহ তার ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে চাঁদবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলার বিলকাজুলী গ্রামের শ্রী সুবাস সরকারের স্ত্রী শ্রীমতি আলো সরকার বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় এ মামলা করে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুল আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলকাজুলী গ্রামের শ্রী সুবাস সরকারের স্ত্রী শ্রীমতী আলো সরকার গত বৃহস্পতিবার (৮ই মে) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একই গ্রামের রমজান আলীর কাছে থেকে জমি বিক্রি করে বায়নার ৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা একটি কাপড়ের ব্যাগে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে একই গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ (৪২), ও তার সহযোগী রুবেল আহম্মেদ (৩৫), আব্দুস সালাম (৩৬), আব্দুর রাজ্জাক (৫০),ও মঞ্জিল হোসেন (৪৫), পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথরোধ করে শ্রীমতী আলো সরকারের কাছে থাকা জমি বিক্রি করা বায়নার ৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় কৃষকদল সভাপতি শামীম আহমেদ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শ্রীমতী আলো সরকারকে বলে তোরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক, এঘটনা কাউকে বললে তোদের বাড়িঘর আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেবো, তোদের মেরে বংশ নির্বংশ করে দেবো। তখন শ্রীমতী সরকার ভয়ে নিরুপায় হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। একই দিন রাত অনুমান ১০ টার দিকে শামীম আহম্মেদ তার সহযোগীদের নিয়ে পুনরায় শ্রীমতী আলো সরকারের বাড়িতে এসে তার স্বামী শ্রী সুবাস সরকারের গলায় ছুরি ধরে আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন শ্রীমতী আলো সরকার তাদের কাছে টাকা নাই বলে জানায়। তখন শামীম আহম্মেদ বলে যে তোদের মেরে ফেলবো বর্তমানে দেশে সরকার নেই, তোদের মেরে ফেললে কিছু হবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সুনাম ক্ষুন্ন করতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে নিয়ে মামলা করিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম জানান, কৃষকদল সভাপতি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।