, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লালমনিরহাটে ‎একই দিনে, সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে মিলল দুইজনের ঝুলন্ত লাশ ‎লালমনিরহাটের খাতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা মাদকসেবী ও চোর চক্রের ভয়াল ছোবলে অতিষ্ঠ বগুড়া ধুনটে আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের বসতবাড়ি হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার র‌্যাব-১২

গায়েবি ও ভুয়া মামলা থেকে ১১ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি নেতা- আসাদুল হাবিব দুলু 

খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট :

বিএনপি-জামাতের অবরোধ চলাকালে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শিমুলতলায় সড়কে খুঁটি পুঁতে পাকা রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রায় ১১বছর পর খালাস পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫জন।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এরআগে গত ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ওই ঘটনা ঘটে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে ওইদিন সকাল থেকে রংপুর – কুড়িগ্রাম মহা সড়কে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলতলা নামক মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে কুড়াল, সাবল, কোদাল ও খুন্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে পাকা রাস্তায় খুঁটি পুঁতে এবং রাস্তা খোড়াখুড়ি করে ব্যারিকেট তৈরি করে। এসময় রাস্তার পিচ উঠিয়ে পাকা রাস্তার দুই পাশের মাটি কাটায় রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টসহ সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগ হয়। ওই অবরোধে নারী নেতাকর্মীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় মামলা করে। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০/৫৫০ জনকে আসামি করা হয়।

খালাস পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুলু বলেন, এটি একটি গায়েবী ও ভূয়া মামলা ছিলো। আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছিলো সেই আন্দোলনকে ব্যহত করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে এ সমস্ত মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে আমরা কোর্ট থেকে ন্যয় বিচার পেয়েছি। কোনো ফ্যাসিবাদি সরকার মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। সেটার প্রমাণ হলো আজ।

মামলার সরকারি পিপি কেএম হুমায়ুন রেজা স্বপন জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় ওই মামলাটিকে হয়রানি মূলক দাবি করে সকল আসামিদের খালাস দেওয়ার জন্য আদালতে যুক্তি স্থাপন করা হয়। এতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে সকল আসামীদেরকে খালাস প্রদান করেন।

জনপ্রিয়

নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি

গায়েবি ও ভুয়া মামলা থেকে ১১ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি নেতা- আসাদুল হাবিব দুলু 

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট :

বিএনপি-জামাতের অবরোধ চলাকালে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শিমুলতলায় সড়কে খুঁটি পুঁতে পাকা রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রায় ১১বছর পর খালাস পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫জন।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এরআগে গত ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ওই ঘটনা ঘটে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে ওইদিন সকাল থেকে রংপুর – কুড়িগ্রাম মহা সড়কে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলতলা নামক মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে কুড়াল, সাবল, কোদাল ও খুন্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে পাকা রাস্তায় খুঁটি পুঁতে এবং রাস্তা খোড়াখুড়ি করে ব্যারিকেট তৈরি করে। এসময় রাস্তার পিচ উঠিয়ে পাকা রাস্তার দুই পাশের মাটি কাটায় রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টসহ সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগ হয়। ওই অবরোধে নারী নেতাকর্মীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় মামলা করে। মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৪৫জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০/৫৫০ জনকে আসামি করা হয়।

খালাস পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুলু বলেন, এটি একটি গায়েবী ও ভূয়া মামলা ছিলো। আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছিলো সেই আন্দোলনকে ব্যহত করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে এ সমস্ত মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে আমরা কোর্ট থেকে ন্যয় বিচার পেয়েছি। কোনো ফ্যাসিবাদি সরকার মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। সেটার প্রমাণ হলো আজ।

মামলার সরকারি পিপি কেএম হুমায়ুন রেজা স্বপন জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় ওই মামলাটিকে হয়রানি মূলক দাবি করে সকল আসামিদের খালাস দেওয়ার জন্য আদালতে যুক্তি স্থাপন করা হয়। এতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে সকল আসামীদেরকে খালাস প্রদান করেন।