, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বগুড়া শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক টাকা জরিমানা বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে শ্বশুর ও পুত্রবধূ খুন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হাতির পায়ে পিষ্ঠ হয়ে দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এফিলিস মারাক (৪৫) ও আজিজুর রহমান উরফে আকাশ (৪২) নামে দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া পাঁচ নম্বর নামক স্থানে ও গান্দিগাঁও দরবেশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এফিলিস মারাক কাংশা ইউনিয়নের গজনী গ্রামের সুহান সাংমার ছেলেও আজিজুর রহমান গান্ধিগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। এনিয়ে গত ৩০ বছরে হাতির

পায়ে পিষ্ট হয়ে গারো পাহাড়ে নারী পুরুষ ও শিশুসহ এ যাবত ৩৭ জনের প্রান গেছে ।অপর দিকে ৩২টি হাতির ও মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ১৯৯৬ সালে শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্য হাতির আগমন ঘটে। বন্য হাতির দল দিনে গভীর অরণ্যে আশ্রয় নেয়। রাতে খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসে লোকালয়ে। কৃষকদের ক্ষেতের ধান, শাক সবজির বাগান, বাড়ি ঘর ও জান মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। দীর্ঘ দুই যুগের ও বেশি সময় ধরে উপুর্যুপরি বন্য হাতির তান্ডবে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।

হাতির তান্ডবে পাহাড়ি এলাকায় শতশত একর আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে পরে আছে। গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে ধান পেকে উঠার সাথে সাথে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তান্ডব বৃদ্ধি পায়। প্রায় প্রতি রাতেই চলে বন্য হাতির তাণ্ডব। উপর্যুপরি বন্য হাতির তাণ্ডবে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে ক্ষেতের ফসল ও জান মাল রক্ষার্থে গ্রামবাসীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। ঢাক ঢোল পিটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে পটকা ফুটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু যতই হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ততই বন্য হাতির দল তেড়ে আসছে লোকালয়ে। ক্ষুদার্থ বন্যা হাতির কৃষকদের কষ্টার্জিত ক্ষেতের ফসল কলার বাগান শাক সবজির বাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে।

গত প্রায় ১৫ দিন ধরে বন্য হাতির দল প্রতিনিয়ত তান্ডব চালাছে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। গত মঙ্গলবার রাতে ২৫/৩০টি বন্যহাতির একটিদল সীমান্ত সড়ক পাড় হয়ে গজনী, হালচাটি, বাকাকুড়া ও গান্দিগাঁও লোকালয়ে নেমে এসে তান্ডব লীলা চালায়। স্থানীয়রা জানান, রাত ১০ টায় এফিলিস ও তার ৩ সহযোগী বাঁকাকুড়া বাজার থেকে পাহাড়ের মাঝ খান দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় হাতির কবলে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এমফিল মারাক। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এর আগে আজিজুর রহমান গান্দিগাঁও দরবেশতলা এলাকায় বালু উত্তোলনকালে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়।

স্থানীয়রা আহত আজিজুর রহমানকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ নিয়ে গারো পাহাড়ে হাতির পায়ে পিষ্ট নারী পুরুষ ও শিশুসহ নিহতের সংখ্যা দ্বারালো ৩৭ এ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলামিন বলেন এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অপরদিকে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে মানুষ হাতি দ্বন্দ্ব নিরশনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং সহ মশালে ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হাতির পায়ে পিষ্ঠ হয়ে দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এফিলিস মারাক (৪৫) ও আজিজুর রহমান উরফে আকাশ (৪২) নামে দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া পাঁচ নম্বর নামক স্থানে ও গান্দিগাঁও দরবেশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এফিলিস মারাক কাংশা ইউনিয়নের গজনী গ্রামের সুহান সাংমার ছেলেও আজিজুর রহমান গান্ধিগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। এনিয়ে গত ৩০ বছরে হাতির

পায়ে পিষ্ট হয়ে গারো পাহাড়ে নারী পুরুষ ও শিশুসহ এ যাবত ৩৭ জনের প্রান গেছে ।অপর দিকে ৩২টি হাতির ও মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ১৯৯৬ সালে শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্য হাতির আগমন ঘটে। বন্য হাতির দল দিনে গভীর অরণ্যে আশ্রয় নেয়। রাতে খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসে লোকালয়ে। কৃষকদের ক্ষেতের ধান, শাক সবজির বাগান, বাড়ি ঘর ও জান মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। দীর্ঘ দুই যুগের ও বেশি সময় ধরে উপুর্যুপরি বন্য হাতির তান্ডবে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।

হাতির তান্ডবে পাহাড়ি এলাকায় শতশত একর আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে পরে আছে। গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে ধান পেকে উঠার সাথে সাথে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তান্ডব বৃদ্ধি পায়। প্রায় প্রতি রাতেই চলে বন্য হাতির তাণ্ডব। উপর্যুপরি বন্য হাতির তাণ্ডবে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে ক্ষেতের ফসল ও জান মাল রক্ষার্থে গ্রামবাসীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। ঢাক ঢোল পিটিয়ে মশাল জ্বালিয়ে পটকা ফুটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু যতই হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ততই বন্য হাতির দল তেড়ে আসছে লোকালয়ে। ক্ষুদার্থ বন্যা হাতির কৃষকদের কষ্টার্জিত ক্ষেতের ফসল কলার বাগান শাক সবজির বাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে।

গত প্রায় ১৫ দিন ধরে বন্য হাতির দল প্রতিনিয়ত তান্ডব চালাছে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। গত মঙ্গলবার রাতে ২৫/৩০টি বন্যহাতির একটিদল সীমান্ত সড়ক পাড় হয়ে গজনী, হালচাটি, বাকাকুড়া ও গান্দিগাঁও লোকালয়ে নেমে এসে তান্ডব লীলা চালায়। স্থানীয়রা জানান, রাত ১০ টায় এফিলিস ও তার ৩ সহযোগী বাঁকাকুড়া বাজার থেকে পাহাড়ের মাঝ খান দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় হাতির কবলে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এমফিল মারাক। অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এর আগে আজিজুর রহমান গান্দিগাঁও দরবেশতলা এলাকায় বালু উত্তোলনকালে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়।

স্থানীয়রা আহত আজিজুর রহমানকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ নিয়ে গারো পাহাড়ে হাতির পায়ে পিষ্ট নারী পুরুষ ও শিশুসহ নিহতের সংখ্যা দ্বারালো ৩৭ এ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলামিন বলেন এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অপরদিকে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে মানুষ হাতি দ্বন্দ্ব নিরশনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং সহ মশালে ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।