, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বগুড়া শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক টাকা জরিমানা বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে শ্বশুর ও পুত্রবধূ খুন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তিন ঘন্টার বাজারে বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ঝিনাইগাতীতে গত একযুগেও গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে গত একযুগেও ঝিনাইগাতী উপজেলার গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত। এগুচ্ছ গ্রামে নারী পুরুষ শিশুসহ শতাধিক লোকের বসবাস। জানা গেছে, গোমড়া গ্রামের অপর নাম ভুমিহীন পাড়া। পুরো গ্রামে প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। প্রায় সবাই ভুমিহীন। সিংহভাগ মানুষ সরকারি খাজ জমিতে বসবাসের পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ ও শ্রমবিক্রি করে কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা ।

এ পুরো গ্রামে তেমন কোনো কোরবানি হয় না বললেই চলে। এ গ্রমের ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বৈদেশিক সাহায্যে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে সরকার। জানা গেছে, এগুচ্ছ গ্রামে ৩০ টি গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। গুচ্ছ গ্রামের নারী পুরুষ সবাই দিনমজুর। দিনমজুরি করে চলে তাদের জীবন জীবিকা। ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হলেও জীবিকা নির্বাহের জন্য সরকারিভাবে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্তা। বর্তমানে এ গুচ্ছ গ্রামে নারী পুরুষ ও শিশুসহ শতাধিক লোকের বসবাস। একদিন কাজে না গেলে সেদিন এ গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে চুলা জ্বলে না। সেদিন অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হয় তাদের।

গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা আঙ্গুরি বেগম (৭০) দিনমজুরি করে চলে তার সংসার। ২ ছেলে ৪ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাদের সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। আঙ্গুরি বেগম বয়সেরভারে ন্যুইয়ে পরেছে। তবুও তাকে জীবিকার তাগিদে মজুরি করতে যেতে হয়। গুচ্ছ গ্রামে মাথাগোজার ঠাই হলেও সরকারিভাবে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড কিংবা ভাগ্যে জুটেনি অন্য কোন সাহায্য সহযোগিতা। পুরো গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় একই অবস্থা। গুচ্ছ গ্রামের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলীসহ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ গুচ্ছ গ্রামে অবস্থানের পর থেকে দীর্ঘ একযোগেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত।

গ্রামবাসীরা জানান, গতবছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুচ্ছ গ্রামবাসীদের কোরবানির গোস্ত দেয়ার নাম করে পরিচয় পত্রের ফোটা কপিও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও গুচ্ছগ্রামবাসীদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্তো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

জনপ্রিয়

বগুড়া ৪ কাহালু -নন্দীগ্রাম আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ

ঝিনাইগাতীতে গত একযুগেও গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে গত একযুগেও ঝিনাইগাতী উপজেলার গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত। এগুচ্ছ গ্রামে নারী পুরুষ শিশুসহ শতাধিক লোকের বসবাস। জানা গেছে, গোমড়া গ্রামের অপর নাম ভুমিহীন পাড়া। পুরো গ্রামে প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। প্রায় সবাই ভুমিহীন। সিংহভাগ মানুষ সরকারি খাজ জমিতে বসবাসের পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ ও শ্রমবিক্রি করে কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা ।

এ পুরো গ্রামে তেমন কোনো কোরবানি হয় না বললেই চলে। এ গ্রমের ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বৈদেশিক সাহায্যে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে সরকার। জানা গেছে, এগুচ্ছ গ্রামে ৩০ টি গৃহহীন ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। গুচ্ছ গ্রামের নারী পুরুষ সবাই দিনমজুর। দিনমজুরি করে চলে তাদের জীবন জীবিকা। ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হলেও জীবিকা নির্বাহের জন্য সরকারিভাবে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্তা। বর্তমানে এ গুচ্ছ গ্রামে নারী পুরুষ ও শিশুসহ শতাধিক লোকের বসবাস। একদিন কাজে না গেলে সেদিন এ গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে চুলা জ্বলে না। সেদিন অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হয় তাদের।

গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা আঙ্গুরি বেগম (৭০) দিনমজুরি করে চলে তার সংসার। ২ ছেলে ৪ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাদের সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। আঙ্গুরি বেগম বয়সেরভারে ন্যুইয়ে পরেছে। তবুও তাকে জীবিকার তাগিদে মজুরি করতে যেতে হয়। গুচ্ছ গ্রামে মাথাগোজার ঠাই হলেও সরকারিভাবে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড কিংবা ভাগ্যে জুটেনি অন্য কোন সাহায্য সহযোগিতা। পুরো গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় একই অবস্থা। গুচ্ছ গ্রামের সাধারণ সম্পাদক জনাব আলীসহ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ গুচ্ছ গ্রামে অবস্থানের পর থেকে দীর্ঘ একযোগেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্ত।

গ্রামবাসীরা জানান, গতবছর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুচ্ছ গ্রামবাসীদের কোরবানির গোস্ত দেয়ার নাম করে পরিচয় পত্রের ফোটা কপিও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও গুচ্ছগ্রামবাসীদের ভাগ্যে জুটেনি কোরবানির গোস্তো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।