
বগুড়ার ধুনটে এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কর্মচারীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ধেরুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহীন আলম সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে ইন্টারনেট ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মুকুল বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মুকুল ডিভিশনাল আইএসপি মাইম ইন্টারনেটের ধুনট থানার পপ ইনচার্জ। তিনি দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দিতে ব্যবসা করে আসছেন।
গত ১৬ই মে শুক্রবার উপজেলার মথুরাপুর বাজারে তার কর্মচারী হাবিবুল্লাহ মেজবাহ ইন্টারনেট সংযোগ দিতে গেলে পীরহাটি গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে শাহীন আলম, নজির উদ্দিনের ছেলে সোহাগ রানা, বিকাশ চন্দ্র, আব্দুল হাকিমের ছেলে রাব্বি ও ধেরুয়াহাটি গ্রামের মৃত আলী আজগরের ছেলে নাসিম তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা মথুরাপুর বাজারে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতমাস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নুরুজ্জামান মুকুলের দুই কর্মচারী সবুজ মিয়া ও ইমন মিয়া মথুরাপুর বাজারের ইসলামী ব্যাংকে ইন্টারনেট সংযোগ মেরামত করতে গেলে শাহীন আলম ও তার সহযোগীরা নুরুজ্জামান মুকুলের কর্মচারীদের কাছে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন তারা চাঁদা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শাহীন আলম ও তার সহযোগীরা মিলে দুইজনকে মারধর করে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও দেড় লাখ টাকা মূল্যের ফাইবার ক্যাবল জোড়া দেওয়া মেশিন ছিনিয়ে নেয়। এবং বাজারে ইন্টারনেট ব্যবসা করতে হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবসা করতে দিবে বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
শাহীন আলম এর ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় তার মন্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মোস্তাফিজ আলম জানান, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মুকুল একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।