
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণ চায় স্থায়ী সরকার। অন্তর্বর্তিকালীন সরকার কোন নির্বাচিত এবং স্থায়ী সরকার নয়। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার ততটুকু সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে। যদি সংস্কার আগামী ৩ মাসের মধ্যে হয়ে যায় তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায় ? তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দল যদি নিজেদের গুছিয়ে নিতে এবং জোট গঠনে দেরী করে তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া যাবে না।
তারেক রহমান দেশের বাম ডান সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষনা করেছেন। আমরা সবাইকে নিয়ে ১৫ বছর জোটবদ্ধ আন্দোলন করেছি। নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েই আগামীর রাজনীতিকে তারেক রহমান এগিয়ে নিবেন। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় তরুণদের লড়াই করতে হবে। তিনি আজ শনিবার বিকেল ৪টায় বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহীও রংপুর বিভাগের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয়
সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি আবু হাসান মোহাম্মাদ ইয়াহিয়া,বগুড়ার নিহত যুবদল নেতা ইমরান হোসেনের কন্যা সামিয়া ইসলাম মীম । সমাবেশ পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালকদার লালু ও মাহাদী আমিন ,বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস দুলু, ব্যরিষ্টার মীর হেলাল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আমিরুল ইসলাম খান আলীম,
ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ভিপি সাইফুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এ,কে,এম তৌহিদুল আলম মামুন প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, অধ্যাপক ইউনুস একজন ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। কিন্তু আসিফ মাহমুদ এর কথামত দেশ চালালে তো চলবে না। তিনি বলেন, ইউনৃস সরকারের কিছু কিছু ভুল হচ্ছে। তাই সে সম্পর্কে আমরা কথা বলি। কিন্তু এটা কোন কোন উপদেষ্টা মানতে পারছেন না । রাজনৈতিক দল হিসেবে কথা বলতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্রগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া ও অন্যদেশকে করিডোর দেয়ার প্রতিবাদ করবোই। বিএনপি তরুনদের কর্মসংস্থানের জন্য আগামীতে কাজ করবে। হাসিনা শুধু টাকা পাচার করেছে, কর্মসংস্থানের জন্য কিছু করেনি। সমাবেশের প্রধান বক্তা যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, জনগণ এ সরকারকে আর চায় না। তাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বিশেষ বক্তা স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, তারেকরহমানের ৩১ দফা জনগণের মুক্তির সনদ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে চাঁদাবাজ, দূর্নীতিমুক্ত ,দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, অনেক সহ্য করেছি। আর কোন বিমাতাসুলভ আচরন আর সহ্য করব না। সরকারকে আমরা সবসময় সহযোগিতা করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের সম্মান টুকু করে না । ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার বিচার করা না হলে আবার রাজপথে নামব। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে উত্তরের ১৬ জেলার হাজার হাজার তরুণ মিছিল নিয়ে অংশ নেন।