, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অজ্ঞাত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার একটি বিল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নবজাতক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ১৯ মে সোমবার বিকেলে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের আসমতপুর গ্রামের বালেগাড়ী বিল এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে স্থানীয় এক কৃষক বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় নবজাতকের মরদেহটি দেখতে পেলে এলাকাবাসী বিষয়টি পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

 

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। ২০ মে মঙ্গলবার মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিক ভাবে মায়ের পরিচয় মিললেও মিলাতে পারেনি বাবার পরিচয়।পরে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর কাজীর নাম উঠে আসলে তিনি এই কুকর্মের সঙ্গে জড়িত নয় বিধায় পলাশবাড়ী সকল কর্মরত সাংবাদিদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য সামিউল ইসলাম বাচ্চাটির মায়ের পরিচয় সনাক্তক করতে পেড়েছে বলে সে দিন জানিয়েছেন তিনি। সে জানান, আমার ওয়ার্ডের মন্জুর মেয়ে ফাতেমার বাচ্চা বলে আমি জানতে পেরেছি। তবে বাবা কে তা আমি জানতে পারিনি।

 

একপর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে ফাতেমা পালিয়ে যায়। কে বা কারা এই নিষ্পাপ নবজাতককে জন্মদাতা তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, গুঞ্জন ও নানা মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে কিছু কুচক্রী মহল বাচ্চাটির পিতার পরিচয় পাল্টানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবী সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বাচ্চাটির মা কে আইনের আওতায় এনে আসল পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক রহস্য খুজে বের করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অজ্ঞাত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার 

প্রকাশের সময় : ০৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার একটি বিল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নবজাতক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ১৯ মে সোমবার বিকেলে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের আসমতপুর গ্রামের বালেগাড়ী বিল এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে স্থানীয় এক কৃষক বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় নবজাতকের মরদেহটি দেখতে পেলে এলাকাবাসী বিষয়টি পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

 

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। ২০ মে মঙ্গলবার মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিক ভাবে মায়ের পরিচয় মিললেও মিলাতে পারেনি বাবার পরিচয়।পরে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর কাজীর নাম উঠে আসলে তিনি এই কুকর্মের সঙ্গে জড়িত নয় বিধায় পলাশবাড়ী সকল কর্মরত সাংবাদিদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য সামিউল ইসলাম বাচ্চাটির মায়ের পরিচয় সনাক্তক করতে পেড়েছে বলে সে দিন জানিয়েছেন তিনি। সে জানান, আমার ওয়ার্ডের মন্জুর মেয়ে ফাতেমার বাচ্চা বলে আমি জানতে পেরেছি। তবে বাবা কে তা আমি জানতে পারিনি।

 

একপর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে ফাতেমা পালিয়ে যায়। কে বা কারা এই নিষ্পাপ নবজাতককে জন্মদাতা তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, গুঞ্জন ও নানা মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে কিছু কুচক্রী মহল বাচ্চাটির পিতার পরিচয় পাল্টানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবী সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বাচ্চাটির মা কে আইনের আওতায় এনে আসল পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক রহস্য খুজে বের করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।