
জুলাই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সংখ্যানুপাতিক (পি,আর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বগুড়া ধুনট উপজেলা (শাখার)’র উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৯শে মে) বিকাল ৫ টার দিকে ধুনট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মুফতী শাহাদত হোসেনের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারি মুহাম্মাদ শাহীন আলম ও জয়েন্ট সেক্রেটারি হাফেজ মাওঃ আশরাফুদ্দীন আল আজাদ-এর যৌথ সঞ্চালনায় বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আন্দোলনের মুহতারাম আমীর, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে জঞ্জাল রাষ্ট্রে পরিনত করেছিলো। সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য জুলাই বিপ্লবে অকাতরে ছাত্র জনতা জীবন উৎসর্গ করেছেন অথচ কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সংস্কারের পূর্বে নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাড় করাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন ৭১সালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে দেশকে সংস্কার করার জন্য। অথচ সংস্কার না করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার কারণে ৫৪ বছরেও মানুষের ভাাগ্যর কোনো পরিবর্তন হয়নি। সুতরাং আমি মনে করি দ্রুততম সময়ে সংস্কার করে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা করা জরুরী। সংস্কার বিহীন নির্বাচন জুলাই বিপ্লবে আত্ম উৎসর্গ কারিদের রক্তের সাথে গাদ্দারি ছাড়া কিছু নই। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে যেনো আর কোনো ফ্যাসিস্ট সংস্কার ক্ষমতায় না আসতে পারে এজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলকে দেশ ও মানবতার সার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
জনসভায় তিনি আরো বলেন, নারী নীতিমালার কিছু ধারা সম্পূর্ণভাবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সুতরাং ৯২% মুসলমানদের দেশে ইসলাম বিরোধী নারী নীতিমালা বাস্তবায়ন হতে দিবো না। ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, রাজনীতি এখন পূঁজি বিহীন লাভজনক ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। এ কারণে ৫৪ বছরে ক্ষমতার পালাবদল হওয়া সত্বেও দেশ এবং জনগণের কাঙ্খিত মুক্তি অর্জনস হয়নি। তিনি আরো বলেন, মানব রচিত আইন দিয়ে দেশ পরিচালিত হলে দেশে ইনসাফ ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা হবে না। গ্রাম অঞ্চলে প্রান্তিক কৃষক ব্যাংক থেকে ৫ হাজার টাকা লোন নিয় সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে পাঠানো হয়। অথচ হাজারো লক্ষ কোটি টাকা লোন নিয়ে ঋণ খেলাফি হলেও তাদেরকে আইন স্পর্শ করে না। সুতরাং ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
সভাপতি তার বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের সমস্ত নেতা কর্মীদের ইসলামের আদর্শ প্রর্তেক ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার আহবান জানান। উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ইন্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নুরুন নাবী, বগুড়া জেলা সভাপতি আ.ন.ম মামুনুর রশীদ, জেলা সহসভাপতি প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান (চুন্নু) জেলা সেক্রেটারী সহ: অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিক, জতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাওলানা আলতাব আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা. ফরহাদ হোসেন মন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহা, সোহরাব হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মুহা নাঈম হাসান প্রমুখ।