, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ের বোদা বলরাম হাট বানিয়াপাড়ায় একটি লাশ উদ্ধার ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু কালিয়াকৈরে সেভয় কোম্পানির আইসক্রিম খেয়ে শিশু অসুস্থ কালিয়াকৈরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু: এলাকায় উত্তেজনা কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা নেশার টাকা না শশুর বাড়িতে আগুন ‎লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারকে তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া শহরের কুখ্যাত হাড্ডিপট্টির ‘আলিফ আইরোন’ থেকে চোরাই মাল উদ্ধার — গ্রেপ্তার ২ ‎ বগুড়া শেরপুরে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ছাত্রীসংস্থার মানববন্ধন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে এক উদীয়মান নেতৃত্ব দিতে চান — প্রভাষক আতাউর রহমান

কোরবানির ঈদে চাহিদা তুঙ্গে কাজিপুরে তেঁতুল কাঠের খাইট্টার

  • প্রকাশের সময় : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৬৯ পড়া হয়েছে

টি এম কামালঃ

কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় খাইট্টা বিক্রির মৌসুমি বাজার। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় এই কাঠের গুঁড়ি-স্থানীয় ভাষায় খাইট্টা-এখন উপজেলার হাটবাজার, মোড় ও পাড়া-মহল্লায় চোখে পড়ার মতো দৃশ্য হয়ে উঠেছে।বিশেষ করে তেঁতুল কাঠের খাইট্টা এবার বেশ চাহিদায়। কারণ এই কাঠের গুঁড়ি দা-ছুরি ব্যবহারে সহজে ক্ষয়ে যায় না, বরং অনেকদিন টিকে থাকে। তাই শুধু পেশাদার কসাই নয়, সাধারণ গৃহস্থরাও খাইট্টা কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, নাটুয়ারপাড়া, মেঘাই, আলমপুর, গান্ধাইল, সিমান্তবাজার, শিমুলদাইড়, হাটশিরা, হরিনাথপুর, কুমারিয়াবাড়ী, জজিরা, তেকানী সহ বেশ কিছু স্থানে গড়ে উঠেছে এই মৌসুমি খাইট্টার পসরা। বিক্রেতারা কেউ কেউ নিজেরাই স’মিল থেকে তেঁতুল কাঠ কিনে এনে মাপমতো কেটে খাইট্টা তৈরি করছেন।সোনামুখী বাজারে হাটশিরা গ্ৰামের খাইট্টা বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর কোরবানির ঈদ আসলেই খাইট্টার ব্যবসা করি। এবারও স’মিল থেকে তেঁতুল কাঠ কিনে এনে বানাচ্ছি। ছোট সাইজের ২০০ টাকায়, বড় সাইজের ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।’আব্দুর রাজ্জাক নামের আরেক বিক্রেতা জানালেন, ‘দাম জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে অনেকে। কেউ কেউ কিনেও নিচ্ছে। তবে আগের বছরের মতো ভিড় এখনও হয়নি। ধারণা করছি শেষ দুই দিনে বেচাকেনা জমবে।’ মেঘাই বাজারে এক কসাই বলেন, ‘তেঁতুল কাঠের খাইট্টায় দা বসে না, গুঁড়িও উঠে না। তাই আমরা পেশাদার কসাইরা এই কাঠটাই বেশি নিই।’তবে খাইট্টার দাম কিছুটা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা। সিমান্ত বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ‘গত বছর ৩০০ টাকায় যেটা কিনেছিলাম, এবার সেটা ৫০০ চাচ্ছে। দামের একটু টান আছে।’ স’মিল মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘তেঁতুল কাঠের সরবরাহ আগের মতো নেই, তাই দাম একটু বেশি। কিন্তু একবার খাইট্টা কিনলে কয়েক বছর টিকে যায়-এই জন্যই সবাই এই কাঠটাই খোঁজে।’প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার সময় দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো কাজিপুরেও খাইট্টার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সারা বছর কিছু কসাই এটি ব্যবহার করলেও ঈদের সময় প্রতিটি বাড়িতে এর প্রয়োজন পড়ে। তাই এই সময়ে উপজেলায় খাইট্টা বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে। সব মিলিয়ে কোরবানির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কাজিপুর উপজেলায় খাইট্টা ব্যবসায় এখন ঈদের আমেজ, যেখানে ঐতিহ্যবাহী কাঠ ব্যবসার সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগও।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ের বোদা বলরাম হাট বানিয়াপাড়ায় একটি লাশ উদ্ধার

কোরবানির ঈদে চাহিদা তুঙ্গে কাজিপুরে তেঁতুল কাঠের খাইট্টার

প্রকাশের সময় : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

টি এম কামালঃ

কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় খাইট্টা বিক্রির মৌসুমি বাজার। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় এই কাঠের গুঁড়ি-স্থানীয় ভাষায় খাইট্টা-এখন উপজেলার হাটবাজার, মোড় ও পাড়া-মহল্লায় চোখে পড়ার মতো দৃশ্য হয়ে উঠেছে।বিশেষ করে তেঁতুল কাঠের খাইট্টা এবার বেশ চাহিদায়। কারণ এই কাঠের গুঁড়ি দা-ছুরি ব্যবহারে সহজে ক্ষয়ে যায় না, বরং অনেকদিন টিকে থাকে। তাই শুধু পেশাদার কসাই নয়, সাধারণ গৃহস্থরাও খাইট্টা কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, নাটুয়ারপাড়া, মেঘাই, আলমপুর, গান্ধাইল, সিমান্তবাজার, শিমুলদাইড়, হাটশিরা, হরিনাথপুর, কুমারিয়াবাড়ী, জজিরা, তেকানী সহ বেশ কিছু স্থানে গড়ে উঠেছে এই মৌসুমি খাইট্টার পসরা। বিক্রেতারা কেউ কেউ নিজেরাই স’মিল থেকে তেঁতুল কাঠ কিনে এনে মাপমতো কেটে খাইট্টা তৈরি করছেন।সোনামুখী বাজারে হাটশিরা গ্ৰামের খাইট্টা বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর কোরবানির ঈদ আসলেই খাইট্টার ব্যবসা করি। এবারও স’মিল থেকে তেঁতুল কাঠ কিনে এনে বানাচ্ছি। ছোট সাইজের ২০০ টাকায়, বড় সাইজের ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।’আব্দুর রাজ্জাক নামের আরেক বিক্রেতা জানালেন, ‘দাম জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে অনেকে। কেউ কেউ কিনেও নিচ্ছে। তবে আগের বছরের মতো ভিড় এখনও হয়নি। ধারণা করছি শেষ দুই দিনে বেচাকেনা জমবে।’ মেঘাই বাজারে এক কসাই বলেন, ‘তেঁতুল কাঠের খাইট্টায় দা বসে না, গুঁড়িও উঠে না। তাই আমরা পেশাদার কসাইরা এই কাঠটাই বেশি নিই।’তবে খাইট্টার দাম কিছুটা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা। সিমান্ত বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ‘গত বছর ৩০০ টাকায় যেটা কিনেছিলাম, এবার সেটা ৫০০ চাচ্ছে। দামের একটু টান আছে।’ স’মিল মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘তেঁতুল কাঠের সরবরাহ আগের মতো নেই, তাই দাম একটু বেশি। কিন্তু একবার খাইট্টা কিনলে কয়েক বছর টিকে যায়-এই জন্যই সবাই এই কাঠটাই খোঁজে।’প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার সময় দেশের অন্যান্য উপজেলার মতো কাজিপুরেও খাইট্টার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সারা বছর কিছু কসাই এটি ব্যবহার করলেও ঈদের সময় প্রতিটি বাড়িতে এর প্রয়োজন পড়ে। তাই এই সময়ে উপজেলায় খাইট্টা বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে। সব মিলিয়ে কোরবানির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কাজিপুর উপজেলায় খাইট্টা ব্যবসায় এখন ঈদের আমেজ, যেখানে ঐতিহ্যবাহী কাঠ ব্যবসার সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি হচ্ছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগও।