১৪ জুন রবিবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের পিছনে স্যালাইনের কার্টুন ভর্তি তিন /চার মাসের মানব ব্রণ পরে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী এই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় যে স্যালাইনের খালি কাটুন এর মধ্যে একটি তিন/চার মাসের মানব দেহ অর্ধগলিত অবস্থায় পড়ে আছে।
হসপিটালের ইলেকট্রিশিয়ান, আশেপাশের লোকজন ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী তারা বলেন সকালবেলায় ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ ও মাছির বর্ণ ভনানী দেখে কাটুনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পায় মানব ব্রণের মতন কিছু একটা। তাৎক্ষণিক হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে কর্তৃপক্ষ থানায় সংবাদ পাঠান, পরবর্তীতে কালীগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম এসে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে ব্রণ টিকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা: রেজওয়ানা রশিদ কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রথমত তিনি স্বীকার করেন দৃশ্যমান ব্রণ টি তিন চার মাসের মানব দেহ। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি বলেন এটা মানব ব্রণ কিবা অন্য কোন প্রাণী তা বুঝা যাচ্ছে না। একটি সূত্রে জানা যায় গত রাত আনুমানিক ভোর চারটার দিকে হাসপাতালে জরুরী বিভাগ (ইমার্জেন্সিতে) লেবারপেইন নিয়ে এক ভদ্রমহিলা আসেন।
তার শারীরিক অবস্থা দেখে ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়ার পরামর্শ দেয় কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বিদায় পরবর্তীতে তাকে ভর্তি দেওয়া হয়। ভর্তি দেওয়া রোগীটি কর্তব্যরত নার্সদের কাছে না এসে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে ভবনের উত্তর পাশে কেবিনের দিকে চলে যান।
কিছুক্ষণ পর রক্তমাখা অবস্থায় নার্সদের কাছে আসেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাকে স্যালাইন এর মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার পর তার কন্ডিশন ও ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন।