
বগুড়ার শেরপুরে কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া বসতি পাড়া গ্রামের মোফাজ্জল বেপারী (৪০) নামের এক ব্যাক্তির বসত বাড়ীর ঘর দরজা ভেঙে আসবাবপত্র , বাক্সের রক্ষিত ব্যাংকের চেক বই, সোনার গহনাসহ প্রায় ৩,৫০,০০০( সাড়ে তিন লক্ষ) টাকার জিনিসপত্র লুটপাট করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাই, ভাবি ও ভাতিজার বিরুদ্ধে ।
এ ব্যাপারে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হল কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া বসতি পাড়া গ্রামের মোঃ আনোয়ার (৫০), পিতা মৃত সফির উদ্দিন, মোঃ আরিফ (২৪), মোঃ শাকিল (২২), পিতা মোঃ আনোয়ার, মোছাঃ হাজেরা বেওয়া (৬৫), স্বামী মৃত সফির উদ্দিন, মোছাঃ হালিমা বেগম (৪৫), স্বামী মোঃ আনোয়ার ।
থানার অভিযোগ ও ভুক্তভোগী মোফাজ্জলের সাথে কথা বলে তিনি জানান, আমার সাথে সৎ ভাই, ভাতিজা ও ভাবীর দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে আমি ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে ঋণ গ্রস্ত হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে ঋণ পরিশোধ করার জন্য আমার বাড়ি, ঘরের দেখাশোনার দায়িত্ব ভাতিজা শাকিলকে দিয়ে আনুমানিক ০১ বছর পূর্বে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
এমতাবস্থায় গত ১৮/০৬/২০২৫ তারিখে আমার স্ত্রী বাড়িতে গিয়ে দেখে আমার বাড়ি, ঘর সহ আসবাবপত্র কোন কিছু নেই। তখন আমার স্ত্রী-সন্তান অন্য জনের বাড়িতে গিয়ে বসবাস করে। এ বিষয়টি আমি জানতে পেয়ে বাড়িতে এসে বিবাদীদের নিকট হতে আমার ঘর এবং আসবাবপত্রের কথা জানতে চাইলে তারা আমার কথায় কর্নপাত না করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করতে উদ্যত হয়।
একপর্যায়ে তারা জানায় আমার সম্পত্তিতে গেলে মেরে আমার লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে কুসুম্বী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই আব্দুল লতিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।