বগুড়ার শেরপুরে বিশালপুর ইউনিয়নের কহিতকুল গ্রামে কহিতকুল মৎস্যজীবী সমিতির নামে সরকারি লীজকৃত পুকুরটির মালিকানা দাবী করে হামলা চালিয়ে পুকুরের পাড়ে থাকা ঘর,পুকুরের উপরের নেট,খাদ্য ছিটানোর নৌকা ভাঙচু,জাল ফেলে কিছু মাছ ধরাসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানার অভিযোগ ও কহিতকুল মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ নান্নুর সাথে কথা হলে তিনি জানান,উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের কহিতকুল মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ২২৫ দাগের সরকারি জলমহাল ইজারার তালিকাভুক্ত ১ একর ৯০ শতাংশের রাধু পুকুরটি প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত সরকারিভাবে ইজার নিয়ে মৎস্য চাষ করিতেছি।
গত ২৬ -০৬-২৫ সকাল ৭ টায় মোহাসিন আলী, মিজানুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, বাটাম, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুকুরের পাড়ে থাকা ঘর, পুকুরের উপরে থাকা নেট ও খাদ্য দেওয়ার নৌকা ভাঙচুর করে। পরে জোরপূর্বক জাল ফেলে কিছু মাছ তুলে নেয়। পুকুরের পাহারাদার কছিম উদ্দিন বাধা দিলে তাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় ও পুকুরে চাষ করা সকল মাছ তুলে নিয়ে যাবে বলে বলে শাসিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,সরকারী ইজারাভূক্ত পুকুর মালিকানা দাবী করার সুযোগ নেই। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এস,এম মইনুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ঘটনা শোনার পরপরই ফোর্স পাঠিয়েছিলাম।দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।