লালমনিরহাট প্রতিনিধি ::
লালমনিরহাটর পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডে নির্মানাধীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বালুর মাঠসহ দুই ধাপে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন শরিফ নামে অসহায় এক রিকশাচালক।
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর যখম ও এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হবার পাশাপাশি হারিয়েছেন, সারাদিন ধরে রিকশা চালিয়ে অর্জিত অর্থ!
মঙ্গলবার (১জুলাই) লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন রাতে এই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। দুই ধাপে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয় রিকশাচালক শরিফ।
পরে,এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শরিফের বরভাই শামীম রেজা (২৬ জুন) বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঐ অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়,গত ২১ জুন রাতে যরদিশ এর ছেলে মোঃ রহমান (২২) রিকশাচালক শরিফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন টি কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করার জন্য নেয়।ফোনটি কিছু সময় পরে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সেই রাতে আর ফোনটি ফেরত দেয় না রহমান। পরের দিন সন্ধ্যার পর শরীফের মা ও বড় ভাই শরিফের ব্যবহৃত ফোনটি উদ্ধার করে।
এরপর গত ২৫ জুন সন্ধার পর রহমানের সাথে দেখা হলে ফোন ফেরত দিতে বিলম্ব করায় ভুক্তভোগী শরিফের সঙ্গে তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয় অভিযুক্ত রহমানের। বিতর্কের এক পর্যায়ে নবনির্মিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বালুর মাঠে অভিযুক্ত মোঃ রহমান,সোহেল,মেহেদীসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন কথা বলার জন্য শরিফকে সেখানে নিয়ে যায়।
পুনরায় সেখানে বিতর্কের এক পর্যায়ে বিবাদী রহমান শরিফকে দেশীয় অস্ত্র গলায় ধরে এবং পকেটে থাকা একটি ৫০০ টাকার নোট ও সারাদিনের রিক্সা চালিয়ে আয়ের খুচরা টাকাসহ প্রায় ১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে রহমান তার হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে দিয়ে শরিফের বাম হাতের উপরে আঘাত করলে সে গুরুতর রক্তাক্ত যখম হয়। সে সময়ে অভিযুক্ত অনন্য হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। ঐ সময়ে,হামলার শিকার আহত শরিফ তার বড় ভাইকে দেখতে পেয়ে তাকে ডাক দিলে, হামলাকারীরা দ্রুত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের
বালুর মাঠ ত্যাগ করে শেখেরদোলার উত্তর সংলগ্ন দোকানের কাছে চলে যায়।
তখন,শরিফের বড় ভাই ও তার বন্ধু সমাধান করার জন্য উল্লেখিত দোকানের কাছে গেলে আবার,শরিফের বড় ভাইয়ের সামনে প্রধান অভিযুক্ত রহমানের বড় ভাই রায়হানের নেতৃত্বে আবারো অভিযোগে উল্লেখিত হামলাকারীরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে পুনরায় শরিফকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
পরপর দুই দফায় মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন রিকশাচালক শরিফ।
যার রেজিঃ নং ২৩৭৮/১২।
দোকানের সামনে মারধরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গালামাল ব্যবসায়ী রুবেল বলেন,আমার দোকানের সামনের দোকানের পাশে শরিফকে কয়েকজন মিলে মারধর করে। পরে,আমার দোকান থেকে পানির পাত্রে পানি নিয়ে আহত শরিফের মাথায় পানি দেয়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে, লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।