, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি বগুড়া নন্দীগ্রামে ৭০গ্রাম হেরোইনসহ আটক তিন বগুড়া ধুনটে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ বগুড়া ধুনটে ইছামতি নদী থেকে নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধার তৃর্ণমুল পর্য়ায়ে মহিলা দলের কার্য়ক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে হবে—-রেজাউল করিম বাদশা লালমনিরহাটে ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লালমনিরহাটে ‎একই দিনে, সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে মিলল দুইজনের ঝুলন্ত লাশ ‎লালমনিরহাটের খাতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা মাদকসেবী ও চোর চক্রের ভয়াল ছোবলে অতিষ্ঠ বগুড়া ধুনটে আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের বসতবাড়ি হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার র‌্যাব-১২

ঝিনাইগাতীতে চাঁদা না পেয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে গৃহহীন পরিবার বের করে দেয়ার হুমকি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঁদা না পেয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে শেফালী বেগম নামে এক গৃহহীন পরিবারকে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সোনা মিয়া বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগে প্রকাশ, ২০১২ সালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে সরকার। এ গুচ্ছ গ্রামে ৩০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ২৮ নং ঘরটি বরাদ্দ দেয়া হয় জসিম মারাক নামে একজন খ্রিষ্টান পরিবারকে। জানা গেছে ঘর বরাদ্দ পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই জসিম মারাকের মৃত্যু হয়। এসময় পরিবারের লোকজন ঘরটি ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যায়। দীর্ঘ ১২ বছর ঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে।

 

গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ওই পরিত্যক্ত ঘরে শেফালী নামে একজন গৃহহীন পরিবারকে নতুন করে পুনর্বাসন করেন। এঘটনার পরদিন গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী শেফালী বেগম ও তার অভিভাবকের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু শেফালী বেগমের পরিবার পরিবার তাদের দাবি অনুযায়ী চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শেফালী বেগমকে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে বের করে দিতে আব্দুর রহমান ও জনাব আলী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

 

শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নাছিমা বেগম নামে এক নারিকে ওই ঘরে তুলে চাইছেন তারা নাছিমা বেগমের স্বামীর বাড়ি রাজশাহী তে। নাছিমার মা পারভীন গুচ্ছ গ্রামের অপর একটি ঘরেই থাকেন। অভিযোগে প্রকাশ, শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করে নাসিমাকে ঘরে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৫ জুলাই শনিবার সকালে আব্দুর রহমান ও জনাব আলীসহ তাদের অন্যান্য লোকজন শেফালী বেগমের বাড়িতে যান। তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে।

 

এসময় ঘর থেকে বের করতে না পেরে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বর্তমানেও শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন তারা। এব্যাপারে শেফালীর পিতা সোনা মিয়া বাদি হয়ে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আলীসহ ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অন্যান্য বিবাদীরা হলেন উসমান গনি, ভোমা মিয়া,কোরবান আলী, আনার আলী, ইমান আলী, নাছিমা বেগম, মমেনা বেগম ও আক্কাস আলী। এব্যাপারে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন শেফালী বেগমের কাছে আমরা কোন চাঁদা চাইনি। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানুয়াট।

 

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আজম বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।

জনপ্রিয়

নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি

ঝিনাইগাতীতে চাঁদা না পেয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে গৃহহীন পরিবার বের করে দেয়ার হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঁদা না পেয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে শেফালী বেগম নামে এক গৃহহীন পরিবারকে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সোনা মিয়া বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগে প্রকাশ, ২০১২ সালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে সরকার। এ গুচ্ছ গ্রামে ৩০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ২৮ নং ঘরটি বরাদ্দ দেয়া হয় জসিম মারাক নামে একজন খ্রিষ্টান পরিবারকে। জানা গেছে ঘর বরাদ্দ পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই জসিম মারাকের মৃত্যু হয়। এসময় পরিবারের লোকজন ঘরটি ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যায়। দীর্ঘ ১২ বছর ঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে।

 

গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ওই পরিত্যক্ত ঘরে শেফালী নামে একজন গৃহহীন পরিবারকে নতুন করে পুনর্বাসন করেন। এঘটনার পরদিন গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী শেফালী বেগম ও তার অভিভাবকের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু শেফালী বেগমের পরিবার পরিবার তাদের দাবি অনুযায়ী চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শেফালী বেগমকে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে বের করে দিতে আব্দুর রহমান ও জনাব আলী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

 

শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নাছিমা বেগম নামে এক নারিকে ওই ঘরে তুলে চাইছেন তারা নাছিমা বেগমের স্বামীর বাড়ি রাজশাহী তে। নাছিমার মা পারভীন গুচ্ছ গ্রামের অপর একটি ঘরেই থাকেন। অভিযোগে প্রকাশ, শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করে নাসিমাকে ঘরে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৫ জুলাই শনিবার সকালে আব্দুর রহমান ও জনাব আলীসহ তাদের অন্যান্য লোকজন শেফালী বেগমের বাড়িতে যান। তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে।

 

এসময় ঘর থেকে বের করতে না পেরে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বর্তমানেও শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন তারা। এব্যাপারে শেফালীর পিতা সোনা মিয়া বাদি হয়ে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আলীসহ ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অন্যান্য বিবাদীরা হলেন উসমান গনি, ভোমা মিয়া,কোরবান আলী, আনার আলী, ইমান আলী, নাছিমা বেগম, মমেনা বেগম ও আক্কাস আলী। এব্যাপারে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন শেফালী বেগমের কাছে আমরা কোন চাঁদা চাইনি। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানুয়াট।

 

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আজম বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।