
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ঔষধ, খাদ্য ও ওজন পরিমাপ সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গত ৮ই জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত পর্যন্ত শেরপুরের বাসস্ট্যান্ড ও মির্জাপুর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক খান।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসী ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিকরা পন্য বিক্রিতে নানা অনিয়ম করে আসছিল এবং ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড ও মির্জাপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বগুড়ার বিএসটিআই ও ঔষধ প্রশাসন।
এ সময় ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন, ২০২৩ এর অধীনে সিটি ফার্মেসী ৮ হাজার টাকা, রিফা মেডিসিন কর্ণার ৬ হাজার ৫০০ টাকা, মেসার্স হক ফার্মেসী ৩ হাজার টাকা, মা মেডিকেল হল ১০ হাজার টাকা ও মীম ফার্মেসী ১৫ হাজার টাকা, বিএসটিআই আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাউদিয়া ডেইরী এন্ড ফুড প্রোডাক্টস ২৫ হাজার টাকা, ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন লঙ্ঘনের অপরাধে আব্দুল্লাহ দই ও মিষ্টান্ন ভান্ডার ১০ হাজার টাকা প্রান্ত দধি এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার ১০ হাজার টাকা, মুসলিমা দই ঘর প্লাস ৫ হাজার টাকা ও জয় দধি ভান্ডার কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মরুময় সরকার, বিএসটিআই এর পরিদর্শক মো. শাহ আলম পলাশ খান ও ফিল্ড অফিসার মো. শাহানুর হোসেন খান। এছাড়াও শেরপুর থানা পুলিশের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক খান জানান, জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং বাজারে সঠিক মান বজায় রাখার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে। নিরাপদ পণ্য এবং সেবার ক্ষেত্রে সচেতন থাকার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে।