
একটু বৃষ্টি হলেই কিংবা কয়েক ঘন্টা একটানা বৃষ্টি হলেই বগুড়া জেলার, শেরপুর উপজেলা শাহবন্দেগী ইউনিয়নে অবস্থিত (৪ নং)ওর্য়াড রহমতপুর, আন্দিকুমড়া গ্রামের রাস্তা গুলো পানিতে ডুবে যায়। দিনের পড় দিন বছরের পড় বছর কিংবা কয়েকযুগ পার হয়ে গেলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা নেয়নিই স্থানীয়ও ইউপি সদস্যরা।
শাহবন্দেগী ইউনিয়ন, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত।এটি ১০নং শাহবন্দেগী ইউনিয়ন নামেও পরিচিত।এই ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৬ সালে।শাহবন্দেগী ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী।
এই ইউনিয়নে ২০টির অধিক গ্রাম রয়েছে, যার মধ্যে রহমতপুর, আন্দিকুমড়া একটি।একটু বৃষ্টিতে রহমতপুর, আন্দিকুমড়া গ্রামের সকল রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় প্রায় ২০০০পরিবারকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মাদ্রাসা, স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধো হয়ে গেছে। রাস্তা দ্রুত সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে এই দুই গ্রামের রাস্তা দিয়ে ৩-৪ গ্রামের মানুষেরা প্রায় ২০ বছর ধরে চলাচল করে আরছে।
রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের কিছু প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সামান্য রাস্তা ইট দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল সেটিও এখন আর আগের মতোন নেই। সংস্কারের অভাবে কাদা-মাটির প্রলেপ পড়ে ওই রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
দুই গ্রামের ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করের দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটে ছোটবড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান নিয়ে অবিভাবকরা অসম্ভব চিন্তায় পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে রাস্তাটিতে কাদা আর হাঁটুপানি জমে থাকে। এ অবস্থা থেকে গ্রামবাসী পরিত্রাণ চায়।
এবার একি গ্রাম থেকে তিন তিনজন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়াই আশাবাদি ছিলাম এবার হয়তো পানি নিষ্কাশন হবে তবে এর কিছুই হয়নিই আসলেই ভেবেছিলাম মসজিদের ভিতরে এসে কথা দিলো তাহলে হয়তো কথা রাখবে।
কিন্তু কথা দিলেই যে রাখবে এটাই বিশ্বাস করা আমাদের ভুল ছিলো এবং নির্বাচিত করাও বড় ভুল ছিলো সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি রাস্তাটি নজরে এনে এলাকার মানুষের জন দুর্ভোগ যেন লাঘব করে।