শেরপুরের শ্রীবরদীতে গৃহবধূর নগ্ন ছবি ভিডিও ভাইরালের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের হাসধরা গ্রামে এঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এঘটনাকে কেন্দ্র করে অপরাধীদের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী ।
এ বিষয়ে গৃহবধূর বড় ভাই মো,রুমান মিয়া বাদি হয়ে ২ বখাটে যুবককে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামীরা গ্রেপ্তার হয়নি। বরং উল্টো অভিযোগ তোলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ওপ্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে আসামী পক্ষের লোকজন বাদির পরিবারকে।
ফলে পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্যা হীনতায় ভোগছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, হাসধরা গ্রামের এক গৃহবধু (২২) গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমে গোসল করার সময় প্রতিবেশি সাইম ও আরিফ নামে ২ বখাটে যুবক ওই গৃহবধূর গোসলের নগ্ন ছবি গোপনে ভিডিও ধারন করে।
পরে তারা ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ব্লাকম্যাইলসহ তাদের কাছে চাঁদা দাবিও করে আসছিল তারা। কিন্তু চাঁদা না দেয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়।পরে স্থানীয়ভাবে এক শালিশ বৈঠক বসে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ডিলিট করে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয় বলে জানা গেছে।
কিন্তু বখাটে সাইম ও আরিফ ওই গৃহবধূর পিছু ছারেনি। সম্প্রতি ওই দুই বখাটে যুবক সাইম ও আরিফ নতুন করে আবারো গৃহবধুর নগ্ন ভিডিওটি ভাইরাল করে দেয়। এবিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এসময় গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে ।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন। স্থানীদের অভিযোগ একাধিক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে গৃহবধূর বড় ভাই রুমান মিয়া প্রতিবাদ করলে বখাটে যুবক সাইম, আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন রুমান ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয় । তারা হুমকি দিয়ে বলেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে আরও অশ্লীল ভিডিও রয়েছে।
যা ইমু ও টিকটকেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো,আনোয়ার জাহিদ বলেন এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অপরাধীরা আত্নগোপনে থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।