
বগুড়ার ধুনটে অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতসহ নানা দুর্নিতি অনিয়মের অভিযোগে মোকছেদ আলী নামের এক সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কমিটি। গত ৩১ জুলাই মাদ্রাসার সভাপতি দাপ্তরিক নোটিশের মাধ্যমে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে। সুপার মোকছেদ আলী উপজেলার কাদাই দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জানা যায়, গ্রামবাসী ও অভিভাবকগন স্বাক্ষরিত গত ২০২৪ সালে ১ অক্টোবর ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর কাদাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোকছেদ আলীর বিরুেদ্ধে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২০২৩ সালে মাদ্রাসায় একজন আয়া ও একজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ নিয়োগ বাবদ সকল ব্যয়অন্তে তৎকালীন সভাপতি বনি আমিন মিন্টু মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য নগদ দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা সুপার মোকছেদ আলীর নিকট জমা দেন। কিন্তু ওই টাকায় বেহাল দশা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কোন কাজ না হওয়ায় বিষয়টি গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের দৃষ্টিগোচর হয়।
মাদ্রাসায় অনু-উপস্থিত, দুর্নীতি, নগদ অর্থ আত্মসাৎ, ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ, ইত্যাদি কারণে সুপার মোকছেদ আলীকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি গত ১ আগষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসারকে দাপ্তিরিক পত্রে অবহিত করা হয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির (এডহক) সভাপতি মজনু মিয়া স্বাক্ষরিত অবহতিকরণ পত্রে উল্লেখ থাকে যে মাদ্রাসার সুপার মোকছেদ আলী তার নিজ কর্মস্থলে গত ১ জুলাই থেকে অনু-উপস্থিত। ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ উপস্থিত না হওয়া, দুর্নীতি, মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ, ব্যাংক চেক জালিয়াতির কারনে বার বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরেও সুপার কোন জবাব না দেওয়ায় ৩১ জুলাই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি কর্তৃক তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্তসহ সকল প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন এবং মাদ্রাসার
প্রশাসনিক কাজ না করার জন্য অনুরোধ করা করা হয়। মাদ্রাসা সুষ্ঠভাবে পরিচালানার স্বার্থে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট আবু সাঈদকে ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট এর দায়িত্ব প্রদান করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।
সুপার মোকছেদ আলী জানান, আমাকে যে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে সেটা আমি শুনেছি ও জানতে পেরিছি। তবে লিখিত ভাবে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এক প্রশ্নে অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে ওই কাজে ব্যস্ত আছি বলে মুঠোফোন কেটে দেয়।
ধুনট উপজেলা কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, কাদাই দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে বরখাস্তের বিষয়ে একটা অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি অবগত আছি।