
বগুড়ার শেরপুরে বৃষ্টির পানি গড়ানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে মারপিট, বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে । এ ব্যাপারে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো- ১। মোঃ শরীফ উদ্দিন (২৮), পিতা-মোঃ কলিম উদ্দিন, ২। মোঃ কলিম উদ্দিন (৫৫), মৃত-সাবেদ আলী, ৩। মোছাঃ সরবানু বেগম (৫০), স্বামী-মোঃ কলিম উদ্দিন, ৪। মোছাঃ নার্গিস বেগম (৩৪), পিতা-মোঃ কলিম উদ্দিন ।
শেরপুর থানার লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী রিনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের বাড়ির পূর্ব পাশে বিবাদী শরীফ উদ্দিনের বাড়ি এবং বিবাদীদের মুদি দোকান ও আমাদের মুদি দোকান। বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনের সাথে বিভিন্ন ধরনের শত্রুতা করে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১/০৮/২০২৫ রাত ০৮.৩০ টায় বৃষ্টির পানি গড়ানোকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে হাতে বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, চাকু, হাসুয়া সহ দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শেরপুর থানার খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ (পূর্বপাড়া) গ্রামস্থ আমার মুদি দোকানের সামনে আসিয়া আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ সময় আমার স্বামী মোঃ মোতালেব মন্ডল(৪০) বিবাদীদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে আমার দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে মুদি দোকানের টিনের ঝাপ সহ দোকানে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা ক্ষতিসাধন করে।
এদিকে ২নং বিবাদী কলিম উদ্দিন এর হুকুমে অপর বিবাদীরা আমাকে সহ আমার স্বামীকে বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়া এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে। ১নং বিবাদী মোঃ শরীফ তাহার হাতে থাকা হাসুয়া দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করে মাথা ফেটে দেয়। এ সময় ৪নং বিবাদী মোছাঃ নার্গিস বেগম আমাদের দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা আনুমানিক নগদ ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা লুট করে নেয়। আমার আত্নচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এস এম মইনুদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।