এস.বি-সুজন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অস্থায়ী বাঁধ ও সড়কসমূহ মেরামতে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোমবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামে ত্রাণ বিতরণ ও পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান রংপুর এরিয়া কমান্ডার ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, “বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রকৌশলীরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেবেন।”
সরকারের সাফল্য দেখতে 'অন্তর্দৃষ্টি' দরকার: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন
পরিদর্শন শেষে তিনি পানিবন্দি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন এবং স্থানীয় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এদিকে, তিস্তা নদীর পানি ধীরে ধীরে কমলেও লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল, নষ্ট হয়েছে ফসলের মাঠ ও পুকুর, হাজারো পরিবার এখনো পানিবন্দি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫২.৬ মিটার, যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে। এর আগে রোববার সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, “তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলে সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন পরিস্থিতি এমনই থাকতে পারে।”