, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

রাণীশংকৈলে পুকুরে মাছ চাষে মুরগির বিষ্ঠার ব্যবহার! স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • ১১০ পড়া হয়েছে

আব্দুল জব্বার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :

রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় ৩ হাজারের বেশি পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ হচ্ছে । তার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ পুকুরেই মুরগির বিষ্ঠা (লিটার) সরাসরি মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে। এ অঞ্চলে মুরগির বিষ্ঠা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না করে সরাসরি খামার থেকে নিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে যত্রতত্র রেখে মাছ চাষে ব্যবহারের কারণে পুকুরের পানি দূষিত হচ্ছে ও দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
সরজমিনে জানা যায়, নেকমরদ – কাতিহার মহাসড়ক, নেকমরদ- চেকপোস্ট সড়ক,মীরডাঙ্গী – গজিরহাট ও চামারদিঘি সড়কসহ গ্রামগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ পুকুরে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন খামারের মুরগির বিষ্ঠা ও তৎসংশ্লিষ্ট বর্জ্য পদার্থ যাহা স্থানীয়রা লিটার বলে অভিহিত করে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে এসব পোল্ট্রি বিষ্ঠা ও বর্জ্য ফেলে রাখায় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হলেও দেখার কেউ নেই। মুরগির লিটার ব্যবহারের ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী সহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। কিছু সংখ্যক গ্রামের মানুষ মৎস্যচাষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে এসব নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকির শিকার হতে হচ্ছে। এ দিকে দিনের পর দিন একই পুকুরে বার বার পোল্ট্রি বিষ্ঠা ও বর্জ্য ব্যবহারে পানি দূর্গন্ধের পাশাপাশি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু মানুষের অভিযোগ।
কৃষি বিভাগ বলছে, মুরগির বিষ্ঠা প্রক্রিয়া করে জৈব সার তৈরি করা যায়। যা প্রায় ৪ মাস মাটিতে পুঁতে রেখে ১’শ কেজি বিষ্ঠা থেকে প্রায় ৫০ কেজি টিএসপির গুনাগুন সমৃদ্ধ জৈব সার পাওয়া সম্ভব। যা পুকুরে মাছ চাষে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মুরগীর খাবারে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও কেমিক্যাল রয়েছে। মুরগীর মল মাছের শরীরে প্রবেশ করলে সহজে ধ্বংস হয় না। তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরবর্তীতে মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মাছের খাবার হিসেবে মুরগীর বিষ্ঠার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এবিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জলিল জানান,  শুনেছি মৎস্যচাষীরা মুরগির বিষ্ঠা ও তৎসংশ্লিষ্ট বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠকে আমি নিজে মৎস্যচাষীদের এসব না ব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করেছি। তবুও তারা থামছে না। আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাণীশংকৈলে পুকুরে মাছ চাষে মুরগির বিষ্ঠার ব্যবহার! স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

আব্দুল জব্বার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :

রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় ৩ হাজারের বেশি পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ হচ্ছে । তার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ পুকুরেই মুরগির বিষ্ঠা (লিটার) সরাসরি মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে। এ অঞ্চলে মুরগির বিষ্ঠা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার না করে সরাসরি খামার থেকে নিয়ে পুকুরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে যত্রতত্র রেখে মাছ চাষে ব্যবহারের কারণে পুকুরের পানি দূষিত হচ্ছে ও দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
সরজমিনে জানা যায়, নেকমরদ – কাতিহার মহাসড়ক, নেকমরদ- চেকপোস্ট সড়ক,মীরডাঙ্গী – গজিরহাট ও চামারদিঘি সড়কসহ গ্রামগঞ্জের প্রায় অধিকাংশ পুকুরে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন খামারের মুরগির বিষ্ঠা ও তৎসংশ্লিষ্ট বর্জ্য পদার্থ যাহা স্থানীয়রা লিটার বলে অভিহিত করে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে এসব পোল্ট্রি বিষ্ঠা ও বর্জ্য ফেলে রাখায় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হলেও দেখার কেউ নেই। মুরগির লিটার ব্যবহারের ফলে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী সহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। কিছু সংখ্যক গ্রামের মানুষ মৎস্যচাষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে এসব নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকির শিকার হতে হচ্ছে। এ দিকে দিনের পর দিন একই পুকুরে বার বার পোল্ট্রি বিষ্ঠা ও বর্জ্য ব্যবহারে পানি দূর্গন্ধের পাশাপাশি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু মানুষের অভিযোগ।
কৃষি বিভাগ বলছে, মুরগির বিষ্ঠা প্রক্রিয়া করে জৈব সার তৈরি করা যায়। যা প্রায় ৪ মাস মাটিতে পুঁতে রেখে ১’শ কেজি বিষ্ঠা থেকে প্রায় ৫০ কেজি টিএসপির গুনাগুন সমৃদ্ধ জৈব সার পাওয়া সম্ভব। যা পুকুরে মাছ চাষে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মুরগীর খাবারে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও কেমিক্যাল রয়েছে। মুরগীর মল মাছের শরীরে প্রবেশ করলে সহজে ধ্বংস হয় না। তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরবর্তীতে মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মাছের খাবার হিসেবে মুরগীর বিষ্ঠার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এবিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জলিল জানান,  শুনেছি মৎস্যচাষীরা মুরগির বিষ্ঠা ও তৎসংশ্লিষ্ট বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠকে আমি নিজে মৎস্যচাষীদের এসব না ব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করেছি। তবুও তারা থামছে না। আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।