রমজান আলী, কোম্পানীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ঢাকার মেট্রো হোমস এর চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোম্পানীগঞ্জে চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ নেতাকে কমিটিতে রাখবেন না। আনলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনগণ মেনে নিবে না।
ফখরুল বলেন, বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তার ভাই কোম্পানীগঞ্জের গড ফাদার আবদুল কাদের মির্জার অত্যাচার ও নির্যাতনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠন একটি সভা সমাবেশ করতে পারে নাই। নেতাকর্মীদের দেখা মাত্র নিজেদের হেলমেট বাহিনী দিয়ে ধরে এনে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অনেক নেতাকর্মীর মাতা-পিতার মৃত্যুর পর জানাযায়ও অংশগ্রহণ করতে পারেনি। হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল খানায় বন্দি ছিল। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দলবল নিয়ে ভারতে পালিয়েছে।
ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ২০১৪ সালে সাক্ষাতের পর এবং তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিগত বছর গুলোতে যেভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আগামীতেও পাশে থাকব। আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্শাসনে হামলা ও মামলার সময় যেভাবে আমাকে কাছে পেয়েছেন আগামীতেও আপনারা আমাকে পাশে পাবেন এবং দুর্শাসনে একজন পরিক্ষীত বন্ধু হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীর পাশে থাকব। কারো যদি কোন সমস্যা থাকে আমি তাদেরকে সর্বাঙ্গিন সহযোগিতা করব।
তিনি শনিবার বিকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট জিরো পয়েন্টে ৫আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তি উপলেক্ষ বিএনপির বিশাল আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সবাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী শাহনাজ পারভীন, বিএনপির নেতা আফতাব আহমেদ বাচ্চু, কাজী একরামুল হক, একরামুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান টিপু, ছাত্রদল নেতা আজিজ আজমিরসহ নেতৃবৃন্দ।