এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া শহরের ২নং ওয়ার্ডের বৃন্দাবন দক্ষিণপাড়ায় ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা। পিতা মোঃ জুয়েল শেখ সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, তার মেয়ে রেশমি খাতুন বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী মোহাম্মদ সাঞ্জিদ ইসলাম সিফাতের দ্বারা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন।
গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রেশমির মা জামাইবাড়িতে গিয়ে দেখেন, রেশমি গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় শয়নকক্ষে বন্দি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রেশমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে-বিশেষ করে উরুতে-প্রায় ৩০টি বার্মিজ চাকুর খোঁচানোর চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘটনার পরপরই সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সাঞ্জিদকে গ্রেফতার করেছে।
প্রশ্নের মুখে একটি অজুহাত: ফেসবুক চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব?
ঘটনার পর কিছু অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠেছে-রেশমির ফেসবুক ব্যবহারের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দিত, আর সেই দ্বন্দ্ব থেকেই নাকি এই সহিংসতার জন্ম।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়-ফেসবুক চালানো কি কোনোভাবেই এমন নির্মম নির্যাতনের যৌক্তিক কারণ হতে পারে? না কি এটি মূল অভিযোগ-যৌতুকের দাবিকে আড়াল করার কৌশল?
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জরুরি
এই ঘটনায় আবারো স্পষ্ট হয়েছে, যৌতুকপ্রথা এখনো সমাজে কতটা নির্মম রূপে বিরাজ করছে। একজন নারী তার নিজের ঘরে, স্বামীর হাতে এভাবে নির্যাতিত হবেন -এটি কোনোভাবেই সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।
আইনের চোখে এই ঘটনা শুধু একটি পারিবারিক কলহ নয়, এটি একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। পুলিশ ইতোমধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করেছে, তবে প্রকৃত বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলতে থাকবে-সেই আশাই করে সমাজ।