খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট :
লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামের মানুষগুলো খুবই সহজ-সরল ও শান্তিপ্রিয়। কৃষি কাজে নির্ভরশীল শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোকে একেবারেই অশান্ত করে তুলেছে শাহীনা বেগম (৪০) নামের এক নারী। যার ভয়ে কাঁফে উত্তর গোবধা গ্রামের একাধিক পুরুষ। কলহ প্রিয় শাহীনার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বয়োবৃদ্ধরাও। ফলে, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের নিকট শাহীনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্তে গেলে পুলিশ দেখেই পালিয়ে যায় মামলার বাদী শাহীনা বেগম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী শাহিনা বেগম র্দীঘদিন ধরে অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কলহ প্রিয় শাহীনা জমিজমা থেকে শুরু করে তুচ্ছ ঘটনাকে তিলকে তাল বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোষ-মিমাংসা করেন।এমনকি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের পরিধানের কাপড় নিজে খুলেন ও নিজের শরীরে নিজে আঘাত করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চলতি বছরের গত ২২ জুলাই একই গ্রামে কৃষক সামছুল হকের উঠতি আমন ধানের চারা শাহিনা বেগমের ছাগল খেয়ে নষ্ট করায় ছাগল ধরে খোয়ায় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনা বেগম সামছুল হকের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ সহ মামলার হুমকি-ধামকি দেন। ছাগল খোয়ায় দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলকে তাল বানিয়ে শাহীনা বেগম ২৩ জুলাই আদিতমারী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীগনের বিরুদ্ধে বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, শ্লীলতাহানি ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়। আদিতমারী থানা অভিযোগটি তদন্ত ছাড়াই ওই দিনই মামলাটি নথিভুক্ত করেন।
উক্ত ঘটনায় সামছুল হকও বাদী হয়ে শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। অবশেষে ৪৮ জন স্বাক্ষরিত স্থানীয় এলাকাবাসী লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের নিকট শাহীনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর শাহীনার দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তে গেলে পুলিশ দেখেই পালিয়ে যায় মামলার বাদী শাহীনা। ওই সময় বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ তদন্ত স্থানে হাজির হয়ে শাহীনা একজন মামলাবাজ,প্রতারক হিসাবে বর্ণনা দেন।
এ বিষয়ে শাহিনা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, আমি মামলা করেছি। তাছাড়া আর কিছুই বলতে রাজি নন বলে ফোন কেটে দেন।
এদিকে,আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর জানান, মামলাটি তদন্তে ঘটনাস্থলে যান এবং বাদীকে বার বার খবর দেওয়া হলেও তদন্ত স্থলে হাজির না হয়ে পালিয়ে যান। এছাড়াও সঙ্গিয় ফোর্স ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বাদীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখেন বাদী বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে।