, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিয়াকৈরে সেভয় কোম্পানির আইসক্রিম খেয়ে শিশু অসুস্থ কালিয়াকৈরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু: এলাকায় উত্তেজনা কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা নেশার টাকা না শশুর বাড়িতে আগুন ‎লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারকে তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া শহরের কুখ্যাত হাড্ডিপট্টির ‘আলিফ আইরোন’ থেকে চোরাই মাল উদ্ধার — গ্রেপ্তার ২ ‎ বগুড়া শেরপুরে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ছাত্রীসংস্থার মানববন্ধন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে এক উদীয়মান নেতৃত্ব দিতে চান — প্রভাষক আতাউর রহমান ধুনটে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে সিম বিক্রেতা নিহত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ডিমলায়

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান

  • প্রকাশের সময় : ১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
  • ৩০ পড়া হয়েছে

এম এ কাহার বকুল লালমনিরহাট জেলা  প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের (এমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মুখ্য সমস্যা চিহ্নিত করে টেকসই সমাধান কৌশল নির্ধারণ ম্যাক্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকেলে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর আয়োজনে ‘হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম (এইচভিইউপি)’ এর আওতায় ‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সমস্যা চিহ্নিতকরণ কৌশল’ শীর্ষক এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্পখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৩০% এই খাত থেকে আসে এবং এটি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে একটি শক্তিশালী চালিকাশক্তি। বক্তরা আরো বলেন, লালমনিরহাট জেলায় এইচভিইউপি কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের উদ্যোগের টেকসই উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে।

ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. মিথুন গুপ্ত-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। এসময় লালমনিরহাট জেলার ডিডিএলজি, স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), উপজেলা কৃষি অফিস, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক, বিশিষ্ট আইনজীবী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং ইউনিলিভার, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, এসএমসি, আরএফএল এর মতো বেসরকারী কোম্পানির প্রতিনিধিগণ।
এছাড়াও, ইএসডিও, ব্রাক, আরডিআরএস, নজির, গাক-সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় এনজিও’র প্রতিনিধি, ম্যাক্স ফাউন্ডেশন-এর ওয়াশ ভ্যালু চেইন স্পেশালিষ্ট মো: আমিনুল ইসলাম মৃধা, এইচভিইউপি প্রকল্পের ফোকাল পারসন আবু জাফর নুর মোহাম্মদ, ইএসডিও-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: মাসুদ রানা এবং এম এ কাহার বকুল, মো: বাবুল আক্তার জামান ও মো: জাহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় লালমনিরহাট জেলার নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, স্যানিটেশন উদ্যোক্তা, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা একটি সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন এবং সম্ভাব্য সমাধান কৌশল প্রস্তাব করেন। আলোচনায় উদ্যোক্তাদের পুঁজি সংকট, বাজার ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন কৌশল, প্রযুক্তির অভাব এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার দাবি জানান।

এসময় কর্মশালার সভাপতি, ডা. মিথুন গুপ্ত তার বক্তব্য বলেন, “ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এইচভিইউপি কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা চাই লালমনিরহাটের এই উদ্যোগী মানুষগুলো যেন তাদের ব্যবসাকে আরও টেকসই ও লাভজনকভাবে গড়ে তুলতে পারে। আজকের এই কর্মশালায় যে মতবিনিময় ও সুপারিশগুলো উঠে এসেছে, তা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।

জনপ্রিয়

কালিয়াকৈরে সেভয় কোম্পানির আইসক্রিম খেয়ে শিশু অসুস্থ

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান

প্রকাশের সময় : ১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫

এম এ কাহার বকুল লালমনিরহাট জেলা  প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের (এমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মুখ্য সমস্যা চিহ্নিত করে টেকসই সমাধান কৌশল নির্ধারণ ম্যাক্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকেলে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর আয়োজনে ‘হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম (এইচভিইউপি)’ এর আওতায় ‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সমস্যা চিহ্নিতকরণ কৌশল’ শীর্ষক এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্পখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৩০% এই খাত থেকে আসে এবং এটি প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে একটি শক্তিশালী চালিকাশক্তি। বক্তরা আরো বলেন, লালমনিরহাট জেলায় এইচভিইউপি কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের উদ্যোগের টেকসই উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে।

ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. মিথুন গুপ্ত-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। এসময় লালমনিরহাট জেলার ডিডিএলজি, স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), উপজেলা কৃষি অফিস, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক, বিশিষ্ট আইনজীবী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং ইউনিলিভার, স্কয়ার টয়লেট্রিজ, এসএমসি, আরএফএল এর মতো বেসরকারী কোম্পানির প্রতিনিধিগণ।
এছাড়াও, ইএসডিও, ব্রাক, আরডিআরএস, নজির, গাক-সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় এনজিও’র প্রতিনিধি, ম্যাক্স ফাউন্ডেশন-এর ওয়াশ ভ্যালু চেইন স্পেশালিষ্ট মো: আমিনুল ইসলাম মৃধা, এইচভিইউপি প্রকল্পের ফোকাল পারসন আবু জাফর নুর মোহাম্মদ, ইএসডিও-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: মাসুদ রানা এবং এম এ কাহার বকুল, মো: বাবুল আক্তার জামান ও মো: জাহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় লালমনিরহাট জেলার নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, স্যানিটেশন উদ্যোক্তা, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা একটি সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন এবং সম্ভাব্য সমাধান কৌশল প্রস্তাব করেন। আলোচনায় উদ্যোক্তাদের পুঁজি সংকট, বাজার ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন কৌশল, প্রযুক্তির অভাব এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার দাবি জানান।

এসময় কর্মশালার সভাপতি, ডা. মিথুন গুপ্ত তার বক্তব্য বলেন, “ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এইচভিইউপি কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা চাই লালমনিরহাটের এই উদ্যোগী মানুষগুলো যেন তাদের ব্যবসাকে আরও টেকসই ও লাভজনকভাবে গড়ে তুলতে পারে। আজকের এই কর্মশালায় যে মতবিনিময় ও সুপারিশগুলো উঠে এসেছে, তা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।