, বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা নেশার টাকা না শশুর বাড়িতে আগুন ‎লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারকে তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া শহরের কুখ্যাত হাড্ডিপট্টির ‘আলিফ আইরোন’ থেকে চোরাই মাল উদ্ধার — গ্রেপ্তার ২ ‎ বগুড়া শেরপুরে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ছাত্রীসংস্থার মানববন্ধন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে এক উদীয়মান নেতৃত্ব দিতে চান — প্রভাষক আতাউর রহমান ধুনটে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে সিম বিক্রেতা নিহত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ডিমলায় নেসকো অফিস ঘেরাও করে লালমনিরহাটে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিক্ষোভ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, টিএস ও বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত বিভিন্ন অনিয়ম অভিযুক্ত

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, টিএস ও বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত বিভিন্ন অনিয়ম অভিযুক্ত

 

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সোমবার (২৫শে আগস্ট) বেলা১১ টার সময় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিসে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের গাজীপুরের সহকারী পরিচালক এনামুল হক এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যর একটি টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়মিত অফিস না করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। নার্স, ডাক্তারের বাথরুম পরিস্কার পাওয়া গেলেও রোগীদের বাথরুম অপরিস্কার পাওয়া গেছে।

 

এন্টিবায়োটিক ওষুধের তালিকা রেজিস্ট্রারে নাই। অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিয়মিত হাসপাতালে আসেননা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সকাল থেকেই ছদ্মবেশে কাজ করছিলেন। পরে দুপুরে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। বাজারে ওষুধ বিক্রি করাসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ে দুদকের।

 

অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, মূলত বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাচাই করে দেখলাম, রোগীরা ঠিকমত ওষুধ পাচ্ছে না। জরুরী বিভাগে কোন রোগী সেলাই বা ব্যান্ডেজ করলে তাদের কাছ থেকে জোর করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়।

 

একজনে যে পরিমাণ খাবার পাওয়ার কথা তার অর্ধেকও পাচ্ছে না। ৮ থেকে ১০ মাস যাবৎ রোগীদের শুধুমাত্র বয়লার মুরগি খাওয়ানো হচ্ছে। ৫০ জন রোগীর জন্য প্রায় ১০ কেজি পরিমাণ মাংস থাকার কথা সেখানে আমরা পরিমাপ করে ঝোল সহ ৪ কেজির মত পেয়েছি। টেন্ডারের কাগজ দেখাতে চাইলে তারা দেখায়নি।

 

অফিস হিসাব রক্ষক অফিসারের অনুপস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে এসব কাগজ দেখাতে রাজি হয়নি। তিনি আরও বলেন, সরকারি ওষুধ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে বাজার থেকে ওষুধ ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল থেকে কর্মকর্তা, কর্মচারী যখন বের হন তারা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেননা।

 

এতে করে কে কয়টায় বের হয় তার কোন হিসাব নাই। আমরা অনেক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেবো। দুদকের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী প্রমুখ।

 

স্বানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ তাই স্বীকার করেন।

জনপ্রিয়

কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, টিএস ও বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত বিভিন্ন অনিয়ম অভিযুক্ত

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫

 

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সোমবার (২৫শে আগস্ট) বেলা১১ টার সময় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিসে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের গাজীপুরের সহকারী পরিচালক এনামুল হক এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যর একটি টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়মিত অফিস না করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। নার্স, ডাক্তারের বাথরুম পরিস্কার পাওয়া গেলেও রোগীদের বাথরুম অপরিস্কার পাওয়া গেছে।

 

এন্টিবায়োটিক ওষুধের তালিকা রেজিস্ট্রারে নাই। অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিয়মিত হাসপাতালে আসেননা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সকাল থেকেই ছদ্মবেশে কাজ করছিলেন। পরে দুপুরে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। বাজারে ওষুধ বিক্রি করাসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ে দুদকের।

 

অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, মূলত বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাচাই করে দেখলাম, রোগীরা ঠিকমত ওষুধ পাচ্ছে না। জরুরী বিভাগে কোন রোগী সেলাই বা ব্যান্ডেজ করলে তাদের কাছ থেকে জোর করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়।

 

একজনে যে পরিমাণ খাবার পাওয়ার কথা তার অর্ধেকও পাচ্ছে না। ৮ থেকে ১০ মাস যাবৎ রোগীদের শুধুমাত্র বয়লার মুরগি খাওয়ানো হচ্ছে। ৫০ জন রোগীর জন্য প্রায় ১০ কেজি পরিমাণ মাংস থাকার কথা সেখানে আমরা পরিমাপ করে ঝোল সহ ৪ কেজির মত পেয়েছি। টেন্ডারের কাগজ দেখাতে চাইলে তারা দেখায়নি।

 

অফিস হিসাব রক্ষক অফিসারের অনুপস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে এসব কাগজ দেখাতে রাজি হয়নি। তিনি আরও বলেন, সরকারি ওষুধ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে বাজার থেকে ওষুধ ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল থেকে কর্মকর্তা, কর্মচারী যখন বের হন তারা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেননা।

 

এতে করে কে কয়টায় বের হয় তার কোন হিসাব নাই। আমরা অনেক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেবো। দুদকের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী প্রমুখ।

 

স্বানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানা রশীদ তাই স্বীকার করেন।