
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল :
নড়াইলে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু ও ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সুমন, মরদেহ মিলল খালে।
নড়াইল সদর উপজেলায় পুকুরে ডুবে আমেনা খাতুন (৭) ও নাফিস মোল্যা (৬) নামে আপন দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সজিব মোল্যা পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুই ভাই-বোন দিঘলিয়া গ্রামের কৃষক ইকরামুল মোল্যার মেয়ে ও ছেলে। তারা স্থানীয় বি.গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে শিশুদের মা রোকাইয়া বেগম বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ে বসে পাটের আশ ছাড়াচ্ছিলেন। এসময় দুই শিশু সেখানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর বাবা তাদের বাড়ি যেতে বলে বাজারে চলে যান। কিন্তু আমেনা ও নাফিস বাড়িতে না গিয়ে মায়ের অগোচরে পুকুরে গোসল করতে নামে। গভীর পানিতে নেমে তারা ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় সন্তানদের দেখতে না পেয়ে মা রোকাইয়া বেগম খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা ঘেরের পানির ভেতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জানতে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। অপরদিকে
নড়াইলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সুমন, মরদেহ মিলল খালে
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় খালে পাওয়া অজ্ঞাত পরিচয় সেই মরদেহের সন্ধান মিলেছে। তার নাম সুমন মোল্যা (১৫) সে উপজেলার লাহুড়িয়া ডহরপাড়া গ্রামের বিল্লাল মোল্যার ছেলে। পেশায় অটোভ্যান চালক ছিল।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কামঠানা বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা মরদেহটি দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে অটোভ্যান চালানোর উদ্দেশে বের হয় সুমন মোল্যা। এদিন রাতে সুমন লাহুড়িয়া রাজাপুর এলাকার সজিব নামে একজনকে ফোন করেন, তবে তার কথা শুনতে পারেনি সজিব। এদিন রাতে সুমন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে শুক্রবার (২২ আগস্ট) লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ওইদিন সুমনের চালিত ভ্যানটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজের দুইদিন পর রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা বেড়িবাঁধ এলাকার একটি খালে বেলায়েত নামে এক ব্যক্তির পাটের জাগ হারিয়ে গেলে তিনি খুঁজতে বের হন। পাটের জাগ খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক ছেলের মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে আশপাশের লোকজনকে জানালে স্থানীয় লোকজন লোহাগড়া থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এদিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমন নামে ওই কিশোরের মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম সুমন মোল্যা, বাড়ি লাহুড়িয়ার ডহরপাড়া গ্রামে। সে পেশায় অটোভ্যান চালক। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শন্তাক্ত করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।