
খাজা রাশেদ,লালমনিরহাট :
প্রি-প্রেইড মিটার বাতিল সহ বন্ধের দাবিতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) লিঃ লালমনিরহাট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ গ্রাহকেরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নেসকো লিমিটেডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ লালমনিরহাট
নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের সামনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় জনস্বার্থ উপেক্ষা করে হয়রানিমূলক প্রি-পেইড মিটার বাতিল/ বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
এ সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার স্বার্থে লালমনিরহাটের নেসকো লিমিটেডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হলে অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধসহ গ্রাহকদের নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হবে বলে জানান আগতরা।
লালমনিরহাট নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহামুদুর রহমান প্রি-পেইড মিটার স্থাপন সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হবে বলে জানান।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মাদ নূরনবী ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত গ্রাহকদের বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টাসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ লালমনিরহাট নেসকো কর্মকর্তা বরাবরে প্রি-পেইড মিটার বাতিল/বন্ধের দাবিতে সদর উপজেলার ফুলগাছ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ সাক্ষরীত একটি লিখিত আবেদন জমা দেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
উক্ত লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়,আমরা আপনার জেলাধীন সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই মিটার ব্যবহারে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত দেখা দিচ্ছে। (১) রিচার্জ করার পরেও পর্যাপ্ত ইউনিট পাওয়া যায় না। (২) অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট কাটা হয়। (৩) ইন্টারনেট সংযোগ বা সার্ভারের সমস্যায় মিটার অকেজো হয়ে যায়। (৪) বয়স্ক এবং শিক্ষিত নন এমন ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহার জটিল। (৫) বিদ্যুৎ চলে গেলে পুনরায় চালু করতে বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োজন হয়, যা অনেকের পক্ষে কষ্টকর। (৬) পোষ্য মিটারে কোনো ধরনের গড় বিলের হিসেব থাকে না। অথচ,বিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি আসে। এইসব কারণে আমরা পুনরায় পোস্টপেইড (পুরাতন) মিটারে ফেরার সুযোগ চাচ্ছি।
অতএব,আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের এলাকায় প্রি-পেইড মিটার ব্যবস্থা বাতিল করে পুনরায় পোস্টপেইড মিটার স্থাপনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
অনুলিপি সদয় জ্ঞাতার্থে ও কার্যার্থে প্রেরিত হইল- জেলা প্রশাসক, লালমনিরহাট। পুলিশ সুপার, লালমনিরহাট। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লালমনিরহাট।