
বাদশা প্রমানিক স্টাফ রিপোর্টার : নীলফামারীতে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) দুইজনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য প্রদান করা। এর সাহায্য হিসেবে দুইজনের প্রত্যেককে একটি করে গাই-বাছুর ও তিনটি ছাগল প্রদান করেছে জেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। এর সাহায্য হিসেবে দুইজনের প্রত্যেককে একটি করে গাই-বাছুর ও তিনটি করে ছাগল প্রদান করেছে জেলা পরিষদ।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন,“আমরা চাই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা সমাজের সাধারণ মানুষের মতো জীবিকা নির্বাহ করে জীবিকা স্বাভাবিকভাবে বসবাস করুক। তারা যেন পর নির্ভরশীল, ভিক্ষাবৃত্তি বা অবহেলার শিকার না হয়ে নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করে সম্মানের সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারে—এজন্যই জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দীপঙ্কর রায় বলেন,“একটি সুন্দর ও উন্নত সমাজ গড়তে সবাড় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। সমাজের কিছু লোক পরনির্ভরশীল হয়ে থাকলে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো না।সুন্দর ও উন্নত সমাজব্যবস্থা ব্যবস্থা গঠনে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জেলা পরিষদ এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরি,চালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রেস ক্লাব নীলফামারীর সাধারণ সম্পাদক নূরে আলমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সহায়তা পাওয়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, এ উদ্যোগ তাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপনে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের পথে সহায়ক হবে। সরকারিভাবে এমন সহযোগিতা পেলে আমরা সমাজের বোঝা না হয়ে, অন্যের উপর নির্ভর হয়ে বা ভিক্ষাবৃত্তি না করে “নিজেদের পরিশ্রমে ঘরে বসে আয় করতে পারব এবং সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারব।”
জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামীতে আমরা আরও ব্যাপক পরিসরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে এ ধরনের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে, যাতে তারা সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত হয়ে জীবনমান উন্নত করতে পারে।





















