
রমজান আলী, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ডাক্তার ছেরাজুল হকের বাড়ির এ.আর. বেলাল উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজেই সম্পত্তি দখল, গাছ কেটে বিক্রি ও মাছ লুটসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে ও বায়না ও দলিল সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর, চরপার্বতী ও চরকাঁকড়া মৌজাসহ মোট ৩টি মৌজায় ডাক্তার ছেরাজুল ইসলাম চৌধুরী মৃত্যুকালে ৫৩১ শতাংশ সম্পত্তি রেখে যান। মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তির মালিক হন তার ঔরসজাত ৭ সন্তান। তাদের মধ্যে আবু রেজা ফারুক চৌধুরীসহ ৬ ভাই-বোন থেকে মোট ৪১৪ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন বসুরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হাজী আবুল খায়ের।
ডা. ছেরাজুল এর কনিষ্ঠ পুত্র এ.আর. বেলাল উদ্দিন চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে নোয়াখালীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের মাননীয় বিচারক মো. মোস্তফা উক্ত সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন (মামলা নং- দেওয়ানী আদালত ২১২/২৩)।
কিন্তু বাদী বেলাল নিজেই আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর সম্পত্তির ভেতরে থাকা ১১টি গাছ কেটে একই বাড়ির ফয়সালের কাছে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাছ ক্রয়কারী মো. ফয়সাল জানান, “আমি বেলালের কাছ থেকে এই গাছগুলো কিনেছি।” তবে এ বিষয়ে জানতে বেলাল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগকারী ক্রেতা হাজী আবুল খায়ের বলেন, “বেলাল আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে ১১টি গাছ কেটে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, পুকুরের মাছ, ধান, নারিকেল, সুপারী ও আম-জামও লুট করে নিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।