, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

ধুনটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে হামলার শিকার ভূমি কর্মকর্তা/ সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করলেন পুলিশ

 

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার পিরাপাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়শিং-বগুড়া সড়কের পিরাপাট বাজার এলাকায় সুকলু মিয়া ও তার ভাইদের ছয় শতক জমি ২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিগ্রহণ করে। জমির মূল্য বাবদ ২০,৬১৬.৭৫ টাকা সুকলু মিয়া উত্তোলনও করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ওই অধিগ্রহণকৃত জমির একাংশ দখল করে সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীরা—শাহাদুল হোসেন মন্ডল, গোদামন্ডল, আব্দুল কাফী, সফিকুল ইসলাম, ইংরেজ উদ্দিন ও কালু মিয়া—ঘর নির্মাণ করেন। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন উচ্ছেদ অভিযানে গেলে, সুকলু মিয়া ও তার সহযোগী ৪০-৫০ জনের একটি দল তাকে ঘিরে ফেলে। তারা তাকে মারধর করে এবং তিন ঘণ্টা ধরে জিম্মি করে রাখে।

এ সময় জোরপূর্বক তিনশ টাকা মূল্যের সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেয়া হয় বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

খবর পেয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করেন এবং তার কাছ থেকে আদায়কৃত সাদা স্ট্যাম্প জব্দ করেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদি তিনি মামলা করেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ধুনটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে হামলার শিকার ভূমি কর্মকর্তা/ সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করলেন পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার পিরাপাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়শিং-বগুড়া সড়কের পিরাপাট বাজার এলাকায় সুকলু মিয়া ও তার ভাইদের ছয় শতক জমি ২০০৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিগ্রহণ করে। জমির মূল্য বাবদ ২০,৬১৬.৭৫ টাকা সুকলু মিয়া উত্তোলনও করেন।

অভিযোগ রয়েছে, ওই অধিগ্রহণকৃত জমির একাংশ দখল করে সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীরা—শাহাদুল হোসেন মন্ডল, গোদামন্ডল, আব্দুল কাফী, সফিকুল ইসলাম, ইংরেজ উদ্দিন ও কালু মিয়া—ঘর নির্মাণ করেন। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন উচ্ছেদ অভিযানে গেলে, সুকলু মিয়া ও তার সহযোগী ৪০-৫০ জনের একটি দল তাকে ঘিরে ফেলে। তারা তাকে মারধর করে এবং তিন ঘণ্টা ধরে জিম্মি করে রাখে।

এ সময় জোরপূর্বক তিনশ টাকা মূল্যের সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেয়া হয় বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

খবর পেয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করেন এবং তার কাছ থেকে আদায়কৃত সাদা স্ট্যাম্প জব্দ করেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। যদি তিনি মামলা করেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।