, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়া নন্দীগ্রামে পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন ‘আলিয়া মসজিদ’ ইতিহাসের নীরব সাক্ষী

 

 

‎এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামে সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় পাঁচ শতাব্দী পুরনো এক রহস্যময় মসজিদ। স্থানীয়ভাবে ‘আলিয়া মসজিদ’ নামে পরিচিত এই প্রাচীন স্থাপনাটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক মূল্যবান নিদর্শন হিসেবে এখনও টিকে রয়েছে।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত মসজিদটি প্রায় ২৫ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়। স্থানীয়রা জানান, হাজারকি গ্রামের পূর্বপাশে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ে (যা বর্তমানে ‘আলিয়া পুকুর’ নামে পরিচিত) জঙ্গল পরিষ্কারের সময় মসজিদটির অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই এটি এলাকাবাসী এবং দর্শনার্থীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

মাত্র ১৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের মসজিদটির উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। ভেতরে সর্বোচ্চ সাতজন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। পূর্বদিকে রয়েছে তিন ফুট উচ্চতার একটি প্রবেশদ্বার। মসজিদের ভেতরে রয়েছে একটি ছোট্ট মেহরাব এবং কোণায় খচিত কারুকার্য, যা এখনও দৃষ্টিনন্দন।

 

‎মসজিদটির বাইরের দেয়ালে পোড়া ইটের কিছুটা ক্ষয় লক্ষ করা গেলেও, ভেতরের গম্বুজ ও ইটের গঠন এখনও বেশ মজবুত ও স্থাপত্যশৈলীতে সমৃদ্ধ। তবে মসজিদটির কোথাও কোনো নামফলক বা শিলালিপি নেই, ফলে এর সুনির্দিষ্ট নির্মাণকাল বা নির্মাতার নাম জানা যায়নি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি মুঘল আমলের কোনো এক সময় নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

বর্তমানে মসজিদটির গায়ে শ্যাওলা ও আগাছা জমে রয়েছে। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেন এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি সংরক্ষণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা যায়।

জনপ্রিয়

বগুড়া নন্দীগ্রামে পাঁচশ’ বছরের প্রাচীন ‘আলিয়া মসজিদ’ ইতিহাসের নীরব সাক্ষী

প্রকাশের সময় : ০২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

‎এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকি গ্রামে সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির কোলে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় পাঁচ শতাব্দী পুরনো এক রহস্যময় মসজিদ। স্থানীয়ভাবে ‘আলিয়া মসজিদ’ নামে পরিচিত এই প্রাচীন স্থাপনাটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক মূল্যবান নিদর্শন হিসেবে এখনও টিকে রয়েছে।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত মসজিদটি প্রায় ২৫ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়। স্থানীয়রা জানান, হাজারকি গ্রামের পূর্বপাশে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ে (যা বর্তমানে ‘আলিয়া পুকুর’ নামে পরিচিত) জঙ্গল পরিষ্কারের সময় মসজিদটির অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই এটি এলাকাবাসী এবং দর্শনার্থীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

মাত্র ১৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের মসজিদটির উচ্চতা প্রায় ২২ ফুট। ভেতরে সর্বোচ্চ সাতজন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। পূর্বদিকে রয়েছে তিন ফুট উচ্চতার একটি প্রবেশদ্বার। মসজিদের ভেতরে রয়েছে একটি ছোট্ট মেহরাব এবং কোণায় খচিত কারুকার্য, যা এখনও দৃষ্টিনন্দন।

 

‎মসজিদটির বাইরের দেয়ালে পোড়া ইটের কিছুটা ক্ষয় লক্ষ করা গেলেও, ভেতরের গম্বুজ ও ইটের গঠন এখনও বেশ মজবুত ও স্থাপত্যশৈলীতে সমৃদ্ধ। তবে মসজিদটির কোথাও কোনো নামফলক বা শিলালিপি নেই, ফলে এর সুনির্দিষ্ট নির্মাণকাল বা নির্মাতার নাম জানা যায়নি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি মুঘল আমলের কোনো এক সময় নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

বর্তমানে মসজিদটির গায়ে শ্যাওলা ও আগাছা জমে রয়েছে। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যেন এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি সংরক্ষণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা যায়।