, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসায় সাত বছরের শিশুর ওপর নির্যাতন, অভিযোগ মায়ের

  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৩ পড়া হয়েছে

মো: আরিফুর রহমান অরি মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

মানিকগঞ্জে তাহফিজুল কুরআনিল কারিম মাদ্রাসার পরিচালক ক্বারী মুরাদ হোসাইনের

বিরুদ্ধে সাত বছরের এক ছাত্রকে শারিরীক এবং মানসিক  নির্যাতনের অভিযোগ  উঠেছে।

এঘটনার প্রতিকার চেয়ে  ভুক্তভোগী কোমলমতি ছাত্রের মা মোসাম্মৎ রিনা আক্তার জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানাগেছে, রিনা আক্তারের ছেলে তাহির মাহমুদ ওই মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী। ২০ আগস্ট অসুস্থ হলে তিনি বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালককে জানান। ২৪ আগস্ট ছেলে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়, কিন্তু মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন, নৌকাবাইচ দেখতে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। যারা অসুস্থ ছিল তাদেরও মারধরের শিকার হতে হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ২৫ আগস্ট মাদ্রাসা  পরিচালক ক্বারী মুরাদ ছাত্র তাহিরকে অফিসকক্ষে ডেকে নৌকাবাইচে যাওয়ার অভিযোগে মারধর করেন, অথচ তাহির ওইদিন অসুস্থ ছিল এবং কোথাও যায়নি। বিষয়টি জানতে চাইলে রিনা আক্তার ছেলের ক্লাস শিক্ষককে ফোন করলে পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অফিসে ডেকে অপমান করেন। এরপর পরদিন মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডে মা-ছেলের নাম উল্লেখ করে বহিষ্কারের ঘোষণা টানানো হয়। এতে পরিবারটি চরম মানহানির শিকার হয়।

রিনা আক্তার বলেন, মাদ্রাসায় ভর্তি করার সময় তিনি প্রায় ৮ হাজার টাকা, পোশাকের জন্য ২,৮০০ টাকা, জেনারেটরের জন্য ১,০০০ টাকা এবং কুরআন হাতে নেওয়ার জন্য ৫,০০০ টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছেলেকে মাঝপথে বহিষ্কার করায় তার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

তাহফিজুল কুরআনিল কারিম মাদ্রাসার পরিচালক ক্বারী মুরাদ হোসাইন বলেন, “এই ছাত্র তার ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রদের গলা টিপে ধরে, কেউ বাথরুমে গেলে ছিটকারি লাগিয়ে দেয়, নিয়মিত ক্লাস আসে না। এখন আপনিই বলুন, তাকে কি করা উচিত? মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জে মাদ্রাসায় সাত বছরের শিশুর ওপর নির্যাতন, অভিযোগ মায়ের

প্রকাশের সময় : ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মো: আরিফুর রহমান অরি মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

মানিকগঞ্জে তাহফিজুল কুরআনিল কারিম মাদ্রাসার পরিচালক ক্বারী মুরাদ হোসাইনের

বিরুদ্ধে সাত বছরের এক ছাত্রকে শারিরীক এবং মানসিক  নির্যাতনের অভিযোগ  উঠেছে।

এঘটনার প্রতিকার চেয়ে  ভুক্তভোগী কোমলমতি ছাত্রের মা মোসাম্মৎ রিনা আক্তার জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানাগেছে, রিনা আক্তারের ছেলে তাহির মাহমুদ ওই মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী। ২০ আগস্ট অসুস্থ হলে তিনি বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালককে জানান। ২৪ আগস্ট ছেলে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়, কিন্তু মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন, নৌকাবাইচ দেখতে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। যারা অসুস্থ ছিল তাদেরও মারধরের শিকার হতে হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ২৫ আগস্ট মাদ্রাসা  পরিচালক ক্বারী মুরাদ ছাত্র তাহিরকে অফিসকক্ষে ডেকে নৌকাবাইচে যাওয়ার অভিযোগে মারধর করেন, অথচ তাহির ওইদিন অসুস্থ ছিল এবং কোথাও যায়নি। বিষয়টি জানতে চাইলে রিনা আক্তার ছেলের ক্লাস শিক্ষককে ফোন করলে পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অফিসে ডেকে অপমান করেন। এরপর পরদিন মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডে মা-ছেলের নাম উল্লেখ করে বহিষ্কারের ঘোষণা টানানো হয়। এতে পরিবারটি চরম মানহানির শিকার হয়।

রিনা আক্তার বলেন, মাদ্রাসায় ভর্তি করার সময় তিনি প্রায় ৮ হাজার টাকা, পোশাকের জন্য ২,৮০০ টাকা, জেনারেটরের জন্য ১,০০০ টাকা এবং কুরআন হাতে নেওয়ার জন্য ৫,০০০ টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছেলেকে মাঝপথে বহিষ্কার করায় তার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

তাহফিজুল কুরআনিল কারিম মাদ্রাসার পরিচালক ক্বারী মুরাদ হোসাইন বলেন, “এই ছাত্র তার ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রদের গলা টিপে ধরে, কেউ বাথরুমে গেলে ছিটকারি লাগিয়ে দেয়, নিয়মিত ক্লাস আসে না। এখন আপনিই বলুন, তাকে কি করা উচিত? মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।