, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা কালীগঞ্জে জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

প্রতিবাদে শালার সংবাদ সম্মেলন ‎কমলনগরে ভুয়া দলিলে ২৯ একর জমি দখলে নিলেন ভগ্নিপতি

  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬১ পড়া হয়েছে

নূর হোসেন কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
‎লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভুয়া দলিল ও খাস খতিয়ান করে নিজের নামে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির প্রায় ২৯ একর জমি দখলে নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ভূমিদস্যু। এ ঘটনায় বুধবার সকালে শালা মাকছুদুর রহমান কমলনগর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাকছুদুর রহমান বলেন, ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সাথে প্রায় ৪২ বছর আগে আমার বড় বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে আমাদের জমি জমা দেখা শুনার দায়িত্ব দেন। ওই থেকে সে আমার বাবার সাথে প্রতারণা করে কিছু জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এর পর আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুর মোহাম্মদ, চরকাদিরা ইউনিয়নের সফিক উল্লাহ বাংলা নেতা এ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের সাথে আঁতাত করে তখনকার সময়ে চরকাদিরা ইউনিয়নে আমার বাবার সকল জমি রেকর্ড করে নেওয়ার পায়তারা করে জাহাঙ্গীর। কিন্তু আমার বাবা বুজতে পারলে তখন ব্যর্থ হয় সে। এর পর জাহাঙ্গীর আলম কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়।
‎তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা যখন বাবার জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোন দলিল পত্র দেয়না। পরে দলিলসহ সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে তার এ সব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই।
‎তার অপকর্মের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নিয়ে থানায় একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাবার সকল জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পারিবারিক একটি বৈঠকে জমির সকল কাগজপত্র নিয়ে বসলে ওখানেও জাহাঙ্গীর আরো ৯একর ৫৪ শতাংশ জমি কাগজ পত্রের গড়মিল দেখায়। সেই থেকে আমাদের কোন কোন জায়গায় সম্পত্তি আছে আমি জানার চেষ্টা করছি। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
‎ মাকছুদ আরো বলেন, আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান আমাদের ঘরের কাজের লোককে ২৪শতাংশ জমি দান করেছে। ওই জমিও জাহাঙ্গীর নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির হাত থেকে আমার খালা ও মামারাও বাঁচতে পারেনি। মামা আবদুল হাকিমকে ২০০৩ সালে মৃত দেখিয়ে ২একর ৪০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আমার মামা মারা যায় ২০২২ সালে। আমি প্রশাসনের কাছে ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সকল অপকর্মের বিচার চাই।
‎এ দিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম দাবি করছেন তার কোথায় জমি নিয়েছি ডকুমেন্ট দেক। বরং সে আমার জমিতে গিয়ে বর্গাচাষিকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এজন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

জনপ্রিয়

পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রতিবাদে শালার সংবাদ সম্মেলন ‎কমলনগরে ভুয়া দলিলে ২৯ একর জমি দখলে নিলেন ভগ্নিপতি

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নূর হোসেন কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
‎লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভুয়া দলিল ও খাস খতিয়ান করে নিজের নামে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির প্রায় ২৯ একর জমি দখলে নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ভূমিদস্যু। এ ঘটনায় বুধবার সকালে শালা মাকছুদুর রহমান কমলনগর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাকছুদুর রহমান বলেন, ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সাথে প্রায় ৪২ বছর আগে আমার বড় বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে আমাদের জমি জমা দেখা শুনার দায়িত্ব দেন। ওই থেকে সে আমার বাবার সাথে প্রতারণা করে কিছু জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এর পর আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুর মোহাম্মদ, চরকাদিরা ইউনিয়নের সফিক উল্লাহ বাংলা নেতা এ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের সাথে আঁতাত করে তখনকার সময়ে চরকাদিরা ইউনিয়নে আমার বাবার সকল জমি রেকর্ড করে নেওয়ার পায়তারা করে জাহাঙ্গীর। কিন্তু আমার বাবা বুজতে পারলে তখন ব্যর্থ হয় সে। এর পর জাহাঙ্গীর আলম কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়।
‎তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা যখন বাবার জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোন দলিল পত্র দেয়না। পরে দলিলসহ সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে তার এ সব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই।
‎তার অপকর্মের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নিয়ে থানায় একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাবার সকল জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পারিবারিক একটি বৈঠকে জমির সকল কাগজপত্র নিয়ে বসলে ওখানেও জাহাঙ্গীর আরো ৯একর ৫৪ শতাংশ জমি কাগজ পত্রের গড়মিল দেখায়। সেই থেকে আমাদের কোন কোন জায়গায় সম্পত্তি আছে আমি জানার চেষ্টা করছি। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
‎ মাকছুদ আরো বলেন, আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান আমাদের ঘরের কাজের লোককে ২৪শতাংশ জমি দান করেছে। ওই জমিও জাহাঙ্গীর নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির হাত থেকে আমার খালা ও মামারাও বাঁচতে পারেনি। মামা আবদুল হাকিমকে ২০০৩ সালে মৃত দেখিয়ে ২একর ৪০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আমার মামা মারা যায় ২০২২ সালে। আমি প্রশাসনের কাছে ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সকল অপকর্মের বিচার চাই।
‎এ দিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম দাবি করছেন তার কোথায় জমি নিয়েছি ডকুমেন্ট দেক। বরং সে আমার জমিতে গিয়ে বর্গাচাষিকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এজন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।