আব্দুল জব্বার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় যুবতীকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে অপহরণ করে
গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে
ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)রাতে ভুক্তভোগী যুবতী থানায় দুই ধর্ষকের নামে মামলা রুজু করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আসমা খাতুন রাণীশংকৈল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সন্ধ্যারই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পৌর শহরে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,
গত (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায়
আসমা মানুষের বাড়িতে কাজ শেষে নিজ বাড়িতে পথে থানার সামনে মেইন সড়ক থেকে শওকত ওরফে (তরকারী) (৪৫),নাজিরুল ইসলাম (৩৫) দুই স্থানীয় ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে তাকে একটি চার্জার ভ্যানে তুলে অপহরণ করে নিয়ে। পরে খুনিয়া দীঘি স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর দাবি, প্রায় এক ঘণ্টা নির্যাতনের পর অভিযুক্তরা তাকে মেইন সড়কে ফেলে যায়। আসমা বাড়ি ফিরে ধর্ষণ হওয়ার ঘটনাটি
তার মামাতো ভাই রেজাউল করিমকে জানায়।পরে পারিবারিকভাে তারা আইনের আশ্রয় নেয় ।
এছাড়াও এজাহারে আরও বলা হয়, পরদিন (১০ সেপ্টেম্বর) রেজাউল করিম ঘটনাটি নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
রাণীশংকৈল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত )রফিকুল ইসলাম জানান- এ ঘটনায় গতকাল বৃৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী আসমা খাতুন বাদী হয়ে
থানায় মামলা করেন। এ নিয়ে ওই রাতেই মামলার ১ নং আসামী শওকত আলী ওরফে (তরকারি)
কে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার
(১২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে জেলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামি নাজিরুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।