, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা

হাবিবুর রহমান হবি: বিএনপির এক নিবেদিত কর্মীর সংগ্রামী ইতিহাস

  • প্রকাশের সময় : ০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮৯ পড়া হয়েছে

মোঃ শান্ত খান বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক নামই গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু কিছু কর্মী এমনকি দলের দুঃসময়ে নিজেদের অবদান রেখে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে। সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকার বিএনপির কর্মী হাবিবুর   রহমান হবি তাদের মধ্যে অন্যতম। দলের জন্য তার আত্মত্যাগ এবং নিষ্ঠা সত্যিই প্রশংসনীয়।

যখন বিএনপির মিছিল মিটিংয়ের সময় মানুষের আগ্রহ ছিল কম, তখন  হাবিবুর রহমান হবি তার অনমনীয় মনোবল এবং সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আহ্বান করতেন। তিনি জানতেন যে, দলের জন্য কর্মীদের প্রয়োজন, এবং এই উপলব্ধি থেকেই তিনি মাইকিং করে মানুষের কাছে বিএনপির কার্যক্রম পৌঁছানোর কাজ করতেন। বিশেষত যখন দলীয় মিছিলে লোকসংখ্যা কম থাকত, তখন তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে  লোকজনকে একত্রিত করতেন।

শুধু মিছিল মিটিংয়ে নয়, ছাত্র আন্দোলনেও হাবিবুর রহমান হবি ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। ছাত্রদের আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে তিনি ছাত্রদের পাশে থেকে সহায়তা প্রদান করেছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি এবং তাকে কারাগারে যেতে হয়। কারাগারে থাকাকালীন সময় বিএনপির বড় নেতাদের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়, যেখানে তিনি তাদের সাহস এবং অঙ্গীকারের কথা শুনে আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন। বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান এই সময় তার সঙ্গে কারাগারে ছিলেন এবং দলের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী বক্তব্য দিয়েছিলেন।

হাবিবুর রহমান হবি বলেন, “আপনারা যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাদের অবদান আমি কখনো ভুলব না। যখন দলের সময় আসবে, আপনাদের স্থান আমি সঠিকভাবে রাখবো।” এই বক্তব্যে তার মধ্যে দলের প্রতি যে নিবেদন এবং কর্তব্যবোধ ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তার এই সংগ্রাম ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর শেষ হয়, যখন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তবে এই মুক্তি তাকে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে মুক্তি দেয়নি, বরং দলের প্রতি তার ভালোবাসা এবং আদর্শে আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করেছে।

বিএনপির প্রতি তার একাগ্রতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিএনপি করতে সাহস লাগে, তাই আমি বিএনপি করি।” তার এই কথায় দলের প্রতি তার অটুট বিশ্বাস এবং নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। শহীদ জিয়ার আদর্শে প্রেরিত হয়ে তিনি বিএনপির প্রতি নিজের আস্থা এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রেখেছেন, বিশেষত এমন সময় যখন অনেকেই বিএনপি বলার সাহস পেতেন না।

আজও হাবিবুর রহমান হবি দলের প্রতি তার আদর্শিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার মতো নিবেদিত কর্মীরা দলকে শক্তিশালী করতে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে দলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

জনপ্রিয়

অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা!

হাবিবুর রহমান হবি: বিএনপির এক নিবেদিত কর্মীর সংগ্রামী ইতিহাস

প্রকাশের সময় : ০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ শান্ত খান বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক নামই গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু কিছু কর্মী এমনকি দলের দুঃসময়ে নিজেদের অবদান রেখে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে। সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকার বিএনপির কর্মী হাবিবুর   রহমান হবি তাদের মধ্যে অন্যতম। দলের জন্য তার আত্মত্যাগ এবং নিষ্ঠা সত্যিই প্রশংসনীয়।

যখন বিএনপির মিছিল মিটিংয়ের সময় মানুষের আগ্রহ ছিল কম, তখন  হাবিবুর রহমান হবি তার অনমনীয় মনোবল এবং সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আহ্বান করতেন। তিনি জানতেন যে, দলের জন্য কর্মীদের প্রয়োজন, এবং এই উপলব্ধি থেকেই তিনি মাইকিং করে মানুষের কাছে বিএনপির কার্যক্রম পৌঁছানোর কাজ করতেন। বিশেষত যখন দলীয় মিছিলে লোকসংখ্যা কম থাকত, তখন তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে  লোকজনকে একত্রিত করতেন।

শুধু মিছিল মিটিংয়ে নয়, ছাত্র আন্দোলনেও হাবিবুর রহমান হবি ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। ছাত্রদের আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে তিনি ছাত্রদের পাশে থেকে সহায়তা প্রদান করেছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি এবং তাকে কারাগারে যেতে হয়। কারাগারে থাকাকালীন সময় বিএনপির বড় নেতাদের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়, যেখানে তিনি তাদের সাহস এবং অঙ্গীকারের কথা শুনে আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন। বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান এই সময় তার সঙ্গে কারাগারে ছিলেন এবং দলের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী বক্তব্য দিয়েছিলেন।

হাবিবুর রহমান হবি বলেন, “আপনারা যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাদের অবদান আমি কখনো ভুলব না। যখন দলের সময় আসবে, আপনাদের স্থান আমি সঠিকভাবে রাখবো।” এই বক্তব্যে তার মধ্যে দলের প্রতি যে নিবেদন এবং কর্তব্যবোধ ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তার এই সংগ্রাম ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর শেষ হয়, যখন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তবে এই মুক্তি তাকে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে মুক্তি দেয়নি, বরং দলের প্রতি তার ভালোবাসা এবং আদর্শে আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করেছে।

বিএনপির প্রতি তার একাগ্রতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিএনপি করতে সাহস লাগে, তাই আমি বিএনপি করি।” তার এই কথায় দলের প্রতি তার অটুট বিশ্বাস এবং নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। শহীদ জিয়ার আদর্শে প্রেরিত হয়ে তিনি বিএনপির প্রতি নিজের আস্থা এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রেখেছেন, বিশেষত এমন সময় যখন অনেকেই বিএনপি বলার সাহস পেতেন না।

আজও হাবিবুর রহমান হবি দলের প্রতি তার আদর্শিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার মতো নিবেদিত কর্মীরা দলকে শক্তিশালী করতে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে দলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।