আবদাল মিয়া,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৬নং আশীদ্রোন ইউনিয়নের জামসী গ্রামে ছাগলের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হামিদ মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এব্যাপারে আহত হামিদ মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে জামসী গ্রামের বিলাদ মিয়া ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৬) ও তহিদুল মিয়া (২২) এর নামে শ্রীমঙ্গল থানায় গত ১৬/০৯/২৫ইং ধারা ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২) মামলা করেন। মামলা নং ১৮।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলাম ও তহিদুল মিয়ার গরু ছাগল প্রায় সময় হামিদ মিয়ার ধানী জমি সহ বিভিন্ন ফসলাদী নষ্ট করে ফেলে। এ নিয়ে প্রায় সময় বাক- বিতণ্ডা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে আবারো জাহিদুল ইসলামের ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে হামিদ মিয়ার সাথে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে জাহিদুল ইসলাম ও তহিদুল মিয়া দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামিদ মিয়ার উপর হামলা চালায়। তহিদুল মিয়া লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এলোপাথাড়ি হামলায় হামিদ মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম হয়। জাহিদুল ইসলামের হাতে থাকে ধারালো দাঁ দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামিদ মিয়ার মাথায় ছেদ মারিলে, ধারালো দাঁয়ের আঘাতে হামিদ মিয়ার মাথার পিছনে রক্তাক্ত জখম হলে হামিদ মিয়ার শোর-চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে হামলার কবল থেকে হামিদ মিয়াকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে হামিদ মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম আহত স্বামীকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
আহত হামিদ মিয়ার স্ত্রী মামলার বাদী পারভীন বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, জাহিদুল ইসলাম ধারালো দাঁ দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ছেদ মেরেছে। আঘাতের স্থানে ১১টি সেলাই লেগেছে। আমার স্বামী গুরুতর আহত থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার উনাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছেন। তিনি বর্তমানে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছেন। বিবাূীরা আমাূেরকে নানান হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বিবাদীদ্বয়ের ভয়ে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। তারা যে কোন সময় আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
এব্যাপারে বিবাদীদের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীমঙ্গল থানা,এস আই অলক বিহারি,জানান মামলা চলমান প্রক্রিয়ায় আছে।