, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা! পাঁচবিবির ধরঞ্জীতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্কে এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত ৫ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আখাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর-০১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ৫০ জন কৃষককে কীটনাশক স্প্রে মেশিন ও ২৫ জন কৃষককে ধান ঝাড়ার মেশিন বিতরণ সীমান্তে গুজব ও চোরাচালান রুখতে গণমাধ্যমের সহায়তা চায় বিজিবি মোরেলগঞ্জে জলবায়ু ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে কোডেকের নতুন কমিটি গঠনে আলোচনা সভা র্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব আশাশুনির আনুলিয়ায় এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের নির্বাচনী প্রচারনা,শোডাউন ও পথসভা

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, দিল্লী,সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জনাব হজরত মাওলানা সৈয়দ আসজাদ মাদানী উপস্থিতে কর্মীসভা

  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭০ পড়া হয়েছে

মোমিন আলি লস্কর ও উজ্জ্বলবন্দ্যোপাধ্যায় ভারত দক্ষিণ ২৪পরগনার (আন্তর্জাতিক): জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ভারতের দেওবন্দি আলেমদের অন্যতম প্রধান সংগঠন। একইসাথে এটি ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরনো সংগঠন।

জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ প্রভাবশালী ইসলামি সংগঠন, যা আব্দুল বারি ফিরিঙ্গি মহল্লী, কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি, আহমদ সাইদ দেহলভিসহ প্রমুখ আলেম ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেওবন্দি চিন্তাধারার অন্তর্ভুক্ত আলেমদের একটি নেতৃস্থানীয় সংগঠন। সংগঠনটি ঐতিহ্যবাহী, দেশপ্রেমিক এবং দাতব্য সংস্থা হিসেবে পরিচিত এবং এর একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে।শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।এই সংগঠনটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং এর রয়েছে সাহস ও আত্মত্যাগের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
দেশের গঠনকে রক্ষা করতে জমিয়েত উলামায়ে হিন্দ কাজ করে চলেছে।শতাব্দী প্রাচীন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এটি।আর তাদের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়নগর বিধানসভার বকুলতলা থানার নতুনহাট নিরাপদর মোড়ের একটি কমপ্লেক্সে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মূল উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি এবং বাঙ্গালির প্রতি যে অমানবিক নির্যাত করে আসছে তার প্রতিবাদে মুসলিম সম্প্রদায় তথা বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় সম্মান যাতে বিচিত্রি না ঘটে তার বিরুদ্ধে জমিয়তে উলামা হিন্দ সকাল সম্প্রদায় মানুষজন কে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছে।মুফতি আমিরালী মহাশয়ের এই মহতি উদ্যোগী দেখে বিভিন্ন স্থান থেকে মাওলনা , মুফতি, কারী,সহ সাধারণ মানুষ জন দলে দলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন এবং মুফতি আমিরালী মহাশয়কে এই রকম সমাজ সেবক কাজের জন্য সাধারণ মানুষ সহ আলেম ওলামাগনেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।উপস্থিত ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, দিল্লী,সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জনাব হজরত মাওলানা সৈয়দ আসজাদ মাদানী সাহেব,জনাব মাওলানা মুফতি শিহাবুদ্দীন সাহেব,জনাব মাওলানা ক্কারী শ্যামসুদ্দিন আহমাদ কাসেমী ও আলীগ, জমিয়েত উলামায়ে হিন্দের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সহ সভাপতি মুফতি আমিরালি মাল,মাওলানা আবুল কাশেম রসুলি,মেহেরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।এ দিনের এই কর্মীসভা থেকে সংগঠনকে কিভাবে মজবুত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।এব্যাপারে এদিন জমিয়েত উলামায়ে হিন্দের জেলার সহ সভাপতি মুফতি আমিরালি মাল বলেন,কেন্দ্রের সরকার ২০১৪ সাল থেকে সংখ্যা লঘু দের অধিকার কেড়ে নিতে একের পর এক বিল আনছে।সম্প্রতি এস আরের নামে আমাদের মুসলিম সমাজের মানুষকে বিতারিত করতে চাইছে।আমরা এটার কঠোর বিরোধিতা করছি।আমাদের ধর্মের উপর কোনো রকম আঘাত আমরা মেনে নেবো না।এদিনের এই কর্মসূচি থেকে আগামীদিনের কর্মসূচির রুপরেখা তৈরি করা হয়। এদিনের এই সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ধর্ম প্রাণ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

অভিমানে পরোপারে পাড়ি জমালেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ইসমতআরা!

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, দিল্লী,সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জনাব হজরত মাওলানা সৈয়দ আসজাদ মাদানী উপস্থিতে কর্মীসভা

প্রকাশের সময় : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোমিন আলি লস্কর ও উজ্জ্বলবন্দ্যোপাধ্যায় ভারত দক্ষিণ ২৪পরগনার (আন্তর্জাতিক): জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ভারতের দেওবন্দি আলেমদের অন্যতম প্রধান সংগঠন। একইসাথে এটি ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরনো সংগঠন।

জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ প্রভাবশালী ইসলামি সংগঠন, যা আব্দুল বারি ফিরিঙ্গি মহল্লী, কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি, আহমদ সাইদ দেহলভিসহ প্রমুখ আলেম ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেওবন্দি চিন্তাধারার অন্তর্ভুক্ত আলেমদের একটি নেতৃস্থানীয় সংগঠন। সংগঠনটি ঐতিহ্যবাহী, দেশপ্রেমিক এবং দাতব্য সংস্থা হিসেবে পরিচিত এবং এর একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে।শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।এই সংগঠনটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং এর রয়েছে সাহস ও আত্মত্যাগের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
দেশের গঠনকে রক্ষা করতে জমিয়েত উলামায়ে হিন্দ কাজ করে চলেছে।শতাব্দী প্রাচীন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এটি।আর তাদের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়নগর বিধানসভার বকুলতলা থানার নতুনহাট নিরাপদর মোড়ের একটি কমপ্লেক্সে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মূল উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি এবং বাঙ্গালির প্রতি যে অমানবিক নির্যাত করে আসছে তার প্রতিবাদে মুসলিম সম্প্রদায় তথা বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় সম্মান যাতে বিচিত্রি না ঘটে তার বিরুদ্ধে জমিয়তে উলামা হিন্দ সকাল সম্প্রদায় মানুষজন কে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছে।মুফতি আমিরালী মহাশয়ের এই মহতি উদ্যোগী দেখে বিভিন্ন স্থান থেকে মাওলনা , মুফতি, কারী,সহ সাধারণ মানুষ জন দলে দলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন এবং মুফতি আমিরালী মহাশয়কে এই রকম সমাজ সেবক কাজের জন্য সাধারণ মানুষ সহ আলেম ওলামাগনেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।উপস্থিত ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, দিল্লী,সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জনাব হজরত মাওলানা সৈয়দ আসজাদ মাদানী সাহেব,জনাব মাওলানা মুফতি শিহাবুদ্দীন সাহেব,জনাব মাওলানা ক্কারী শ্যামসুদ্দিন আহমাদ কাসেমী ও আলীগ, জমিয়েত উলামায়ে হিন্দের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সহ সভাপতি মুফতি আমিরালি মাল,মাওলানা আবুল কাশেম রসুলি,মেহেরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।এ দিনের এই কর্মীসভা থেকে সংগঠনকে কিভাবে মজবুত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।এব্যাপারে এদিন জমিয়েত উলামায়ে হিন্দের জেলার সহ সভাপতি মুফতি আমিরালি মাল বলেন,কেন্দ্রের সরকার ২০১৪ সাল থেকে সংখ্যা লঘু দের অধিকার কেড়ে নিতে একের পর এক বিল আনছে।সম্প্রতি এস আরের নামে আমাদের মুসলিম সমাজের মানুষকে বিতারিত করতে চাইছে।আমরা এটার কঠোর বিরোধিতা করছি।আমাদের ধর্মের উপর কোনো রকম আঘাত আমরা মেনে নেবো না।এদিনের এই কর্মসূচি থেকে আগামীদিনের কর্মসূচির রুপরেখা তৈরি করা হয়। এদিনের এই সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ধর্ম প্রাণ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।